প্রভাবশালীর চত্রছায়ায় রাঙামাটির রিজার্ভ বাজার ঝুল্লুক্যা পাহাড়ের চিহ্নিত ভুমিদস্যু ও সন্ত্রাসী কর্তৃক সংখ্যালঘু নারী রিপা বড়ুয়া ও রুনু বড়ুয়া’র উপর অমানুষিক নির্যাতন, শ্লীলতাহানি, ভ্রুণহত্যার বিচার ও নিরাত্তার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
শুক্রবার সকল ১০টায় স্থানীয় রেইনবো রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিতা ও তার আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকার অনেক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্যে সন্তান হারা, নির্যাতিতা, ভুক্তভোগীরা মিডিয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী মোঃ রুবেল(৩৩), মোঃ হাশেম (৩৭) ও অসীম বড়ুয়া (৪৫) দের হাতে এই পর্যন্ত এলাকা ডজন ডজন নারী-পুরুষকে শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে চরম নাজেহাল করেছে। চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল তাদের সর্বশেষ নির্যাতনে রিপা বড়ুয়া (৩৪)’র গর্ভপাত ঘটে ও বৃদ্ধা রুনু বড়ুয়া (৫৫) তাদের নির্যাতনে এখন ঠিকভাবে চলতে-ফিরতে অক্ষম। রিপা বড়ুয়া তার গর্ভজাত ভ্রুণ বাঁচাতে না পেরে এখন সে পাগল প্রায়। তাদের কাছে গর্ভবতী অথবা কোন মা নিরাপদ নয়, তা না। রুবেল ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের অত্যাচার নির্যাতন থেকে রুবেলের আপন পিতা, খালাও রেহায় পায়নি। বিভিন্ন সময় তাদের হাতে নির্যাতিতদের নাম ক্রমানুসারে তুলে ধরা হলো, বিধবা সোমা বিশ্বাস, বিধবা জোস্না বেগম, বিধবা জান্নাতুল ফেরদৌস (৫৫), ইয়াসমিন আক্তার(৩০) সন্ত্রাসী রুবেল’র আপন খালা নুর নাহার বেগম(৪৫)।বিধবাসহ অসহায় নারী ছাড়াও রুবেল গং এর অত্যাচার ও নির্যাতনের তালিকা থেকে তার জন্মদাতা পিতাও রেহাই পায়নি। সে-ই তালিকাও দীর্ঘ। নিন্মে তা উল্লেখ করা হলো-মোঃ নুরুল আলম বলি (৬০), তিনি হলেন, ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী মোঃ রুবেল এর আপন পিতা। সে তাকেও পিঠিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। স্থানীয়দের মধ্যে মোঃ বেলাল হোসেন (৩০), মোঃ রনী (২৭), মোঃ ইকবাল (৩৫), মোঃ জাহাঙ্গীর (৪৫) ও মোঃ আনিস (৪০)।
উল্লেখ্য ২৫ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল ৩ টা ৫০ মিনিটের সময় আমরা কোন কিছু বুঝে ওঠার আগে সন্ত্রাসী রুবেল তার দলবল নিয়ে রিপা বড়ুয়াদের বসত ঘরের দখল নিতে যায়। তাকে টাকা দিলে, সে যে কারোরই পক্ষ নিয়ে লোকজনকে উচ্ছেদ করে থাকে। সেই কারণে এলাকার সবাই তার ভয়ে টঠস্থ থাকে। আমারাও তাকে খুব ভয় করি। কারণ সে এলাকার চিহ্নিত প্রভাবশালী মাদক কারবারি ও একজন বিতর্কিত জনপ্রতিনিধিসহ একাধিক প্রভাবশালী নেতার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সেল্টারে থাকে।
তারা সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, আমরা আমাদের ভিটেমাটি আঁকড়ে থাকতে চাইলে, সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। মধ্যযুগীয় কায়দায় চরম নির্যাতন চালায়। তাদের নির্মম হামলা ও নির্যাতনে পৃথিবীর আলো দেখার আগেই রিপা বড়ুয়া তার গর্ভজাত সন্তান হারিয়েছে। রুনু বড়ুয়া এখন অনেকটা চলাফেরায় অক্ষম। শুধু সংলঘু পরিবারের নারী সদস্য হিসেবেই নয়, নারী হিসেবে বিশ্ব মানবতার জননী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। এলাকায় হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছে, যেন কেউ স্বাক্ষী না হয়। ক্ষতি গ্রস্থরা শান্তি ও নিরাপদে বসবাস করতে চাইলেও তারা বর্মানে মামলা প্রত্যাহারে চাপে রয়েছে।