চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের প্রবাসী মো. বদিউল আলমের জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে ব্যাংক ঋণ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের দাবি একই নামের একই ইউনিয়নের অন্য একজন প্রতারণার মাধ্যমে এ ঋণ নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাঙ্গুনিয়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বদিউল আলমের স্ত্রী শরমিন আক্তার জানান, তার স্বামী ২০১৯ সালে বিদেশে গেছেন, যার প্রমাণ পাসপোর্টে রয়েছে। অথচ অভিযোগ অনুযায়ী ২০২৩ সালে প্রায় ব্র্যাক ব্যাংকের দুটি শাখা থেকে ১১ লাখ টাকার বেশি ঋণ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি বাঁশখালীর একটি ব্যাংক শাখা থেকেও ঋণ নেওয়া হয়েছে, তবে সঠিক অঙ্ক এখনো জানা যায়নি।
অভিযোগ করেন তিনি “আমার স্বামী বিদেশে থাকলেও তার নামে একের পর এক ঋণ নেওয়া হচ্ছে। অথচ মামলার বোঝা চাপানো হচ্ছে আমাদের উপর। আমরা নির্দোষ হয়েও পুলিশের হয়রানির শিকার হচ্ছি।”
পরিবারের দাবি, পুলিশ প্রথমে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। বরং বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে তাদের।
সংবাদ সম্মেলনে বদিউল আলমের স্ত্রী প্রকৃত জালিয়াতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি নির্দোষ পরিবারের হয়রানি বন্ধ করার আহ্বান জানান।