বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সোমবার সারাদেশের মতো রাঙ্গুনিয়াতেও পালন করা হয়েছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, মিছিল ও আলোচনাসভায় অংশ নেন নেতাকর্মীরা। তবে এদিন একাধিক নেতার নেতৃত্বে আলাদা আলাদা মিছিল বের হওয়ায় ঐক্যের ছবি না আসায় সাধারণ কর্মীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মতো গুরুত্বপূর্ণ দিনে একই দলের ভিন্ন ভিন্ন নেতার নেতৃত্বে মিছিল বের হওয়ায় সাধারণ মানুষের কাছে দলের ভেতরের বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে গেছে। কর্মীরা মনে করছেন, একসাথে হলে শক্তি ও সৌন্দর্য দুটোই বাড়তো।
একজন যুব নেতা বলেন, “একই দলের হয়েও আমরা ভিন্ন ভিন্ন মিছিলে হেঁটেছি। এতে মানুষের কাছে নেতিবাচক বার্তা গেছে।”
সিনিয়র কয়েকজন নেতৃবৃন্দের মতে, আসন্ন এমপি নির্বাচনকে ঘিরে মূলত বিভক্তির সৃষ্টি হয়েছে। এরই প্রতিফলন দেখা গেছে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনেও। স্থানীয় নেতৃত্বে কে প্রাধান্য পাবে—এ নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বই মূলত আলাদা মিছিলের কারণ।
তারা আরও বলেন, এই বিভাজন অব্যাহত থাকলে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হতাশা বাড়বে এবং ভবিষ্যতের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ শক্তি গড়ে তুলতে দলকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। বিশেষ করে সরকারবিরোধী আন্দোলনের মতো বড় পরিসরে স্থানীয় পর্যায়ের ঐক্য খুবই জরুরি।
তৃণমূল পর্যায়ের অনেকেই আশা করছেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করে রাঙ্গুনিয়ায় ঐক্যের ছবি ফিরিয়ে আনবে। তাদের মতে, ছোটখাটো নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব ভুলে একসাথে কাজ করলেই স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।