রাঙ্গুনিয়ার ঐতিহ্যবাহী গুমাইবিলের কাটাখালী এলাকায় স্থাপিত সোলার সেচ প্রকল্পের মূল্যবান মোটর পাম্প চুরির ঘটনা ঘটেছে৷ সদ্য নির্মাণকৃত এই সেচ প্রকল্পটি মাত্র দু’দিন আগেই কৃষকদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছিলো। এটি স্থাপিত হওয়ায় আশেপাশের ১০০ হেক্টর কৃষি জমি তিন মৌসুমে আবাদের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, তাই উচ্ছ্বসিত ছিলো এলাকার শত শত কৃষক। কিন্তু এরমধ্যেই গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে এমন চুরির ঘটনায় কৃষকদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গুমাই বিলের নজরের টিলা কাটাখালী সম্মিলিত সোলার পাম্প কৃষক গ্রুপের সহ সভাপতি মোঃ. সিরাজুল ইসলাম (৫২)।
তিনি জানান, চট্টগ্রামের শস্যভাণ্ডার খ্যাত গুমাইবিলে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট (সিএসএডব্লিউএম) মাধ্যমে সোলার সেচ প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। পরে এটি পরিচালনার জন্য নজরের টিলা- কাটাখালী সম্মিলিত সোলার পাম্প কৃষক গ্রুপ গঠন করে তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়। এই গ্রুপের মাধ্যমে গুমাই বিল এর জন্য পানির মোটর, সোলার পাম্প ও আরো আনুসাঙ্গিক যন্ত্রপাতি ঐখানে মজুদ রাখা হয় এবং পাম্প হাউজের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এমতাবস্থায় গুমাই বিল এর মজুদ রাখা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর হতে পাঠানো পানির মোটর পাম্পটি (Vertical In- line Circulation Pump, Model-LD80-23G/2SWHCJ, S/N-A2405365470, P-5.5kw, Wt-87 kg, Made by- JNTECH RENEWABLE ENERGY CO. LTD) অজ্ঞাতনামা চোরের দল চুরি করে নিয়ে যায়। যেটির অনুমান মূল্য এক লক্ষ টাকা।
এদিকে এমন মূল্যবান সামগ্রীর জন্য কোন প্রহরী ছিলো কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কৃষক গ্রুপের পক্ষ থেকে নৈশ্য প্রহরী হিসেবে জিয়াউল আলম (৩৫) নামে এক ব্যক্তি কর্মরত ছিলেন। তিনি ওইদিন রাত ৮টা থেকে কর্মরত ছিল। রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘন্টা তিনি রাতের ভাত খাওয়ার জন্য নিজ ঘরে গেলে, এই সুযোগে এমন চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।
এই বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরুল কায়েস জানান, সোলার সেচ প্রকল্পের মোটর চুরির ঘটনায় কৃষকদের কাছ থেকে অবহিত হওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করেছি। কৃষকদের জন্য এমন গুরুত্বপূর্ণ সেচ প্রকল্পের মূল্যবান মোটর চুরির ঘটনাটি দু:খজনক। তিনি চুরির ঘটনায় তদন্তপূর্বক জড়িতদের চিহ্নিত করে চুরি যাওয়া মোটরটির উদ্ধারের দাবী জানান।
জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ওসি মো. আরমান হোসেন জানান, কৃষক সেচ গ্রুপের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এই ব্যাপারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 


















