চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে বিশিষ্ট অর্থোপেডিক সার্জন ও মানবিক চিকিৎসক ডাঃ এ.টি.এম. রেজাউল করিমকে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্বে এই আসনে প্রার্থী ছিলেন তার আপন মামা কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান। তবে এবার তাকে পরিবর্তন করে নতুন নেতৃত্ব হিসেবে এটিএম রেজাউল করিমকে মনোনয়ন দিয়েছে দল।
রাঙ্গুনিয়ার লালানগর গ্রামের সন্তান ডাঃ রেজাউল করিম কেবল একজন চিকিৎসক নন, বরং একজন মানবিক যোদ্ধা।
করোনাকালীন সময়ে যখন চারপাশে ভয়, আতঙ্ক আর মৃত্যুভয় ঘিরে ধরেছিল, তখন চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো নিজের উদ্যোগে পার্কভিউ হাসপাতালে “কোভিড ইউনিট” চালু করে তিনি অসংখ্য প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন। যখন অন্য হাসপাতালগুলো পিছিয়ে গিয়েছিল, তখন তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাই চট্টগ্রামের মানুষ তাঁকে এখনো শ্রদ্ধাভরে ডাকে “কোভিড যোদ্ধা” নামে।
১৯৬৭ সালে জন্ম নেওয়া এই সংগ্রামী চিকিৎসক শৈশব থেকেই পরিশ্রমী ও মেধাবী ছিলেন। রাঙ্গুনিয়া খীলমোগল রসিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করে ১৯৯৩ সালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। ছাত্রজীবনে তিনি দুইবার ওই মেডিকেল কলেজের ছাত্রশিবির সভাপতি ছিলেন এবং নব্বইয়ের দশকের এরশাদবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন সাহসিকতার সঙ্গে।
তিনি পরবর্তীতে অর্থোপেডিক সার্জারি বিষয়ে ডিপ্লোমা ইন অর্থোপেডিকস ও এম.এস (অর্থোপেডিকস) ডিগ্রি অর্জন করেন।
বর্তমানে তিনি পার্কভিউ হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ম্যাক্স ড্রাগ লিমিটেডের চেয়ারম্যান।
মানবসেবায় নিবেদিত এই চিকিৎসক চট্টগ্রামে বহু সমাজসেবামূলক উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি, চট্টগ্রাম বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট,
এবং রাঙ্গুনিয়া হেলথ কেয়ার হাসপাতাল ও রাঙ্গুনিয়া ওয়েল কেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের কার্যকরী কমিটির সদস্য এবং চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল হাসপাতালের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান।
মানবতার সেবাকে জীবনের ব্রত মনে করা এই মানুষটি এবার রাজনীতির মঞ্চে নেমেছেন রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়নের স্বপ্ন নিয়ে। তিনি বলেন, “আমি রাজনীতি করতে আসিনি ক্ষমতার জন্য, এসেছি মানুষের ভালোবাসা ফেরাতে। রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি ঘরে যেন সুখ-শান্তি ও উন্নয়নের আলো পৌঁছায়, সেটাই আমার অঙ্গীকার।”
তৃণমূলের মানুষ বলছে , “ডাঃ রেজাউল করিম শুধু একজন প্রার্থী নন, তিনি আশার প্রতীক। করোনার সময় যেমন তিনি পাশে ছিলেন, তেমনই তিনি রাঙ্গুনিয়ার মানুষদের পাশে থাকবেন সর্বদা।”