রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নির্বাচন কালীন আহবায়ক কমিটি নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন কমিটির মনোনীত নেতৃবৃন্দ শুক্রবার রাতে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন। অন্যদিকে কথিত আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবীতে প্রাক্তন কমিটি গতকাল শনিবার রাতে সমিতির কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
নবনির্বাচিত আহবায়ক আব্দুল মোতালেব চৌধুরী বলেন, সাবেক ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অনুমোদন না নিয়ে নির্বাচন ছাড়াই বার বছর জোরপূর্বক দায়িত্বে থেকে সমিতির নেতা পরিচয়ে এলাকায় লুটপাট, জবরদখল, সদস্যদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলেন। এছাড়া নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের সাথে নিয়মতান্ত্রিক যোগাযোগ না করে কোনরকম হিসেব-নিকেশ ও অডিট ছাড়াই তারা এতোদিন সমিতির কার্যক্রম চালিয়ে বার বছরে ২৬ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সদস্য সচিব শামসুল আলম কন্ট্রাক্টর, সদস্য হাজী ইলিয়াছ সিকদার, ওসমান গনি, মোহাম্মদ সোলেমান, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, আনোয়ার সওদাগর, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, আব্দুর রহিম, হায়দার চৌধুরী, নজরুল ইসলাম বালি প্রমুখ।
লিচুবাগান ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন কমিটির নেতৃবৃন্দ সংবাদিক সম্মেলনে বলেন, কথিত আহবায়ক কমিটিতে তিনজন সদস্য কোন ব্যবসায়ী নয়। অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে ভূয়া কমিটি প্রকাশ করেছে। বর্তমান ও প্রাক্তন কমিটিতে উভয়ের শুনানী করে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠনের আহবান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী আব্দুল সালাম মেম্বার, মজিবুল হক, বেলাল উদ্দিন বেলাল, ক্বারী মাওলানা মোহাম্মদ রফিক, হাজী আব্দুল মালেক তালুকদার, মাওলানা আলমগীর হামিদ, হাজী খোরশেদ আলম, মাসুদ পারভেজ, নাসির উদ্দিন, লোকমান তালুকদার প্রমুখ। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফরিদুল আলম গত ১৯ নভেম্বর লিচুবাগান ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির এগার সদস্যবিশিষ্ট একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি অনুমোদন দেন।