হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নস্থ পশ্চিম উদালিয়া গ্রামের মনাই ত্রিপুরা পাড়ার ভেঙ্গে পড়া শ্রী শ্রী সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরটি সংস্কার করা হয়েছে।
জানা যায়, চলতি বছরের গত ২৮ মে বুধবার ঘূর্নিঝড় রেমাল এর প্রভাবে প্রবল বাতাশের তোঁড়ে ওই পাড়ার প্রায় ৬০/৭০ টি পরিবারের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের জন্য থাকা বাঁশ ও টিনের তৈরী একমাত্র ধর্মীয় উপাসনালয়টি (দূর্গা মন্দির) লন্ড ভন্ড হয়ে যায়। যার কারনে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে আসন্ন দূর্গা পূজা পালন করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। এবিষয়ে গত ৩১ মে জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “মনাই ত্রিপুরা পল্লীর মন্দিরটি ভেঙে গেছে ! শীঘ্রই সংস্কার করা হবে, জানালেন ইউএনও! ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।
এদিকে সংবাদ প্রকাশের মাত্র ২ দিনের মধ্যেই ওই মন্দিরটির প্রাথমিক সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়।
উদালিয়া মনাই ত্রিপুরা পল্লী ছাত্র কল্যান পরিষদের সভাপতি ফুলচাঁন, সম্পাদক নির্মল ত্রিপুরা, প্রবীন বাসিন্দা শিবচন্দ্র ত্রিপুরা (৭০), সুকুমার ত্রিপুরাসহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ঘূর্নিঝড়ের প্রভাবে মন্দিরটি ভেঙ্গে যাওয়ায় কয়েকমাস পরে আসন্ন আমাদের সবচেয়ে বড় দূর্গা পুজা উৎসব (হিন্দু ধর্মীয়) পালন করতে পারবো না এমন একটি শংকায় ছিলাম, তবে এখন সে শংকা কেটে গেছে। এবারও এই পল্লীর সবাই দূর্গা পুজায় উৎসব আনন্দ করতে পারবে এই ভেবে খুবই ভালো লাগছে। তারা মন্দিরটি সংস্কার করায় উপজেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, মনাই ত্রিপুরা পল্লী এক সময় অবহেলিত ছিলো। তবে গত ২০১৮ সালের ২১ আগস্ট মঙ্গলবার থেকে রোববার পর্যন্ত ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের উদালিয়া গ্রামের ওই পাড়ায় হাম রোগে আক্রান্ত হয়ে একই পরিবারের অন্ন রায় (৫), সুমা রায় ও (৩) অন্ন বালা (৭) সহ শিমুনী ত্রিপুরা (৩) নামের ৪ জন শিশুর মৃত্যুর পর এখানকার সোনাই ও মনাই ত্রিপুরা পল্লী সকলের নজরে আসে। তারপর সরকার এখানে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করেন।