চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে রাঙ্গুনিয়ায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা ঢাকা মহানগরের সাবেক সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দীনের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা রাঙ্গুনিয়া উপজেলার আয়োজনে বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানা গেটের সামনে সড়কের দুই পাশে দাড়িয়ে মানববন্ধন করা হয়। পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কাপ্তাই সড়কের ইছাখালী পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়। পরে উপজেলা সদরের ইছাখালী এলাকায় কাপ্তাই সড়কের উপর বসে প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ করায় দুই পাশে যানবাহন আটকে দীর্ঘ ভোগান্তির মধ্যে পড়েন যাত্রীরা। প্রায় আধাঘন্টা পর সড়ক অবরোধ তুলে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রসেনা রাঙ্গুনিয়া মধ্যম-দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মদ শাহ এমরান রনি। সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রবিউল মোস্তফা রাফির সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শাহজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ ওবায়দুল মোস্তফা নঈমী, মাওলানা জরিফ আলী আরমান, অধ্যক্ষ নাসির উদ্দীন তৈয়বী, মুহাম্মদ করিম উদ্দীন হাছান, মুফতি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মুহাম্মদ মোজাহেদুল ইসলাম, এইচ এম শহীদুল্লাহ, এম এ শাকুর, শহীদুল ইসলাম খোকন। উপস্থিত ছিলেন মাওলানা করিম উদ্দীন নুরী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আকতার হোসেন, মাহমুদুর রশিদ মাসুদ, ছানাউল্লাহ, সালাউদ্দিন নেজামী, জামাল উদ্দিন, দিদার আলম, বেলাল উদ্দীন, হাফেজ তারেক হোসাইন, জয়নাল আবেদীন, জমির উদ্দিন, ওবায়দুল হক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের যদি দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা না হয় তবে দেশে আন্দোলন সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসন যদি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, এটা নিয়ে গড়িমসি করে তবে মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হবে। যার ফলে হত্যার বদলে হত্যা, রক্তের বদলে রক্ত। প্রতিরোধ প্রতিশোধ গ্রহণের স্পৃহা মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হবে। তখন দেশের আইসৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে, শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট হবে এবং এর দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে। তারা অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।