চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউট (এসইডিপি) স্কিমের অধীনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার( ২৩ জুলাই) সকাল ১১টায় উপজেলার কবি আব্দুল হাকিম পাবলিক অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার পরিদর্শক আলমগীর হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সন্দ্বীপ উপজেলা কৃষি অফিসার মারুফ হাসান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মগধরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ দিদার হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উত্তর সন্দ্বীপ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, কারামতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নাজির আহম্মেদ, কার্গিল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল আজম, সন্তোষপুর আদর্শ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ এস এম হালিম উল্ল্যাহ, বদিউজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম এবং সন্দ্বীপ মডেল কলেজের পরিচালনা পরিষদের সদস্য এয়ার বাংলা আনোয়ার।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কবি ও সাহিত্যিক কাজী শামসুল আহসান খোকন, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সন্দ্বীপ শাখার সভাপতি ইলিয়াছ সুমন, সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসাইন, যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর মোস্তফা আলী হাসান, প্রচার সম্পাদক ফয়সাল আসির, অর্থ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম শিহাব, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল হামিদ। এছাড়া, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, কৃতি ছাত্রছাত্রী ও সুশীল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস (PBG) কর্মসূচি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রেরণা যোগাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ফলাফল, উপস্থিতি, সহপাঠ্য কার্যক্রম এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করে যেসব প্রতিষ্ঠান এগিয়ে রয়েছে, তাদেরকে এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।তারা আরও বলেন, এটি শুধুমাত্র একটি আর্থিক সহায়তা নয়, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি—যা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে আরও ভালো করার জন্য অনুপ্রাণিত করে। বক্তারা এই কর্মসূচিকে শিক্ষাক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত উন্নয়ন সম্ভব।
বক্তারা এসইডিপির এমন কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান এবং সরকারের প্রতি শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিও জানান।
অনুষ্ঠানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন এবং এই পুরস্কারকে ভবিষ্যতের অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।