চট্টগ্রাম 10:19 pm, Friday, 18 July 2025

সন্দ্বীপে ছাত্রদল কর্মির উপর হামলা ও অপহরণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

সন্দ্বীপ উপজেলার মাইটভাংগা ইউনিয়ন ছাত্রদলের একজন কর্মির উপর হামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করছেন তার পরিবার। ২৪ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় একটি বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ছাত্রদল কর্মি সাজ্জাদ হোসেন ১৮ বলেন প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আমি মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন (১৮), পিতা আবু তাহের, শাহেদা বেগম, সাং মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন, ০৫ নং ওয়ার্ডস্থ রশিদের গো হাজী খুরশেদ সুকানীর বাড়ী। থানা সন্দ্বীপ, জেলা চট্টগ্রাম।আমি একজন দরিদ্র পিতা মাতার সন্তান। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সমর্থক এবং একজন কর্মীও বটে। শুধু মাত্র রাজনৈতিক মতানৈক্য থাকার কারনে গত ২০ নবেম্বর আমার উপর ঘটে যায় এক অমানবিক ঘটনা। যার কোন প্রকার বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছিনা শুধু মাত্র রাজনৈতিক উপর মহলের কারনে। যার জন্য আপনাদের মাধ্যমে আমি দেশ বাসিকে জানাতে চাই এবং আইনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ সু-বিচার পেতে আপনাদের শরণাপন্ন হয়েছি।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা, আমি গত ২০ নবেম্বর- রোজ বুধবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার সময় আমার-ব্যাক্তিগত কাজে ধোপার হাটে যায়। ইতিপূর্বে আমি আমার পেইজ বুকে তারেক রহমানের ছবি পোষ্ট করি। এ ছবিকে কেন্দ্রে করে-পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা আমার পরিচিত মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবিরের ৮/১০ জন গুন্ডা বাহিনি আমার উপর আক্রমনাত্তক হয়ে উঠে। এবং আমি কোন দিন থেকে বিএনপি করি এসব জানতে চাই। আমি আমার দাদা এবং রাজনৈতিক গুরু উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সেক্রেটারী জামশেদুর রহমানের পরিচয় দিলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এবং ধোপার হাটের দক্ষিণ মাথায় বাবুল টেইলার্সে’র সামনে জনসম্মুখে আমার উপর আক্রমন চালাতে থাকে । আমার উপর বেদম প্রহর চালিয়ে মোটর বাইকে তুলে আমাকে মাইটভাঙ্গা একটি বাগানে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এবং হত্যার চেষ্টা করে। এতে আমার পরিবার ও আত্মীয়রা পুলিশকে খবর দিলে সন্দ্বীপ থানার এস আই রমজানের নেতৃত্বে পুলিশের একাটি টিম মাইটভাঙ্গা ০৫ নং ওয়ার্ডস্থ এলাকা থেকে আমাকে উদ্ধার করে। তবে পুলিশের টের পেয়ে সন্ত্রসীরা পালিয়ে যায়। আমাকে উদ্ধার শেষে পুলিশ আমাকে যেখানে ঘটনার সূত্রপাত সেখানে নিয়ে আসে। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ ঘটনার সত্যতা পায়। পরে পুলিশ আমাকে আমার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন এবং আমার পরিবারকে সন্দ্বীপ থানায় এসে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।

কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো সন্দ্বীপ থানা আমাদেরকে সহযোগিতা র আশ্বাস দিলেও কোন এক অদৃশ্য কারনে এ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

এ ঘটনার প্রধান কারণ হলো আমি উপজেলা বিএনপির সাবেক সেক্রেটারী জামশেদুর রহমানের সাথে রাজনীতি করি। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে গিয়ে হুমায়ুন কবিরের সাথে জামসেদুর রহমানের মতভিন্নতা রয়েছে। এলাকায় সুপথে আদর্শের রাজনীতি প্রতিষ্টা করতে গিয়ে হুমায়ূন কবিরের সাথে মতভিন্নতা সৃষ্টি হওয়ার কারনে হুমায়ুন কবিরের নির্দেশে ৮/১০ জন সন্ত্রাসী বাহিনি এ ঘটনা ঘটায়।

সন্দ্বীপ থানায় আমরা লিখিত অভিযোগে হুমায়ুন কবির কে প্রধান আসামী করে ৬ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করি। আসামীরা হলেন ১। হুমায়ুন কবির (৫০) পিতা আবদুল বাতেন ২। মোঃ মান্না (২৮) পিতা মৃত লাতু ৩। মোঃ শরীপ (২০) পিতা মোঃ শামু ৪। মোঃ ইতু (১৯) পিতা আজাদ ৫। মোঃ আরমান (২৪) পিতা অজ্ঞাত ৬। মোঃ হুমায়ূন (৫০) পিতা মৃত মহিব উল্লাহ। সর্ব মাং মাইটভাঙ্গ ইউনিয়ন।

তবে দুঃখ জনক বিষয় হলো সন্দ্বীপ থানা আমাদের অভিযোগ পত্রটি গ্রহন করলেও কোন ভাবেও রিসিভ কপি দিলেননা। বরণ আসামীদের সেইভ করার চেষ্টা করেন। এবং সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন হুমায়ুন কবির কে অভিযোগ থেকে বাদ দিলে আমরা ব্যাবস্থা নিবো।এ কেমন রাজনৈতিক প্রভাব? যারা এ অন্যায় কে সমর্থন করে প্রভাব পেলছেন? কেন আমরা বিচার পাবোনা? এ প্রশ্নের কোন উত্তর আমাদের কাছে নাই।এমনতোবস্থায় আমি এবং আমার পরিবার সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। যেন অতি-দ্রুত আমার উপর ঘটে যাওয়া ঘটনার তদন্ত সাপক্ষে আইনানু ব্যাবস্থা গ্রহন কারেন।ধন্যবাদ সবাই কে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সন্দ্বীপ প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি এম এ হাশেম, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফয়সাল, দপ্তর সম্পাদক আলী হোসেন , সদস্য ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সন্দ্বীপ শাখার সভাপতি ইলিয়াছ সুমন, ও সন্দ্বীপ সংযোগের নির্বাহী ফসিউল আলম প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সন্দ্বীপে রেজাউল করিমকে সংবর্ধনা ও ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠান সম্পন্ন

সন্দ্বীপে ছাত্রদল কর্মির উপর হামলা ও অপহরণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

Update Time : 08:29:56 pm, Sunday, 24 November 2024

সন্দ্বীপ উপজেলার মাইটভাংগা ইউনিয়ন ছাত্রদলের একজন কর্মির উপর হামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করছেন তার পরিবার। ২৪ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় একটি বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ছাত্রদল কর্মি সাজ্জাদ হোসেন ১৮ বলেন প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আমি মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন (১৮), পিতা আবু তাহের, শাহেদা বেগম, সাং মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন, ০৫ নং ওয়ার্ডস্থ রশিদের গো হাজী খুরশেদ সুকানীর বাড়ী। থানা সন্দ্বীপ, জেলা চট্টগ্রাম।আমি একজন দরিদ্র পিতা মাতার সন্তান। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সমর্থক এবং একজন কর্মীও বটে। শুধু মাত্র রাজনৈতিক মতানৈক্য থাকার কারনে গত ২০ নবেম্বর আমার উপর ঘটে যায় এক অমানবিক ঘটনা। যার কোন প্রকার বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছিনা শুধু মাত্র রাজনৈতিক উপর মহলের কারনে। যার জন্য আপনাদের মাধ্যমে আমি দেশ বাসিকে জানাতে চাই এবং আইনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ সু-বিচার পেতে আপনাদের শরণাপন্ন হয়েছি।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা, আমি গত ২০ নবেম্বর- রোজ বুধবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার সময় আমার-ব্যাক্তিগত কাজে ধোপার হাটে যায়। ইতিপূর্বে আমি আমার পেইজ বুকে তারেক রহমানের ছবি পোষ্ট করি। এ ছবিকে কেন্দ্রে করে-পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা আমার পরিচিত মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবিরের ৮/১০ জন গুন্ডা বাহিনি আমার উপর আক্রমনাত্তক হয়ে উঠে। এবং আমি কোন দিন থেকে বিএনপি করি এসব জানতে চাই। আমি আমার দাদা এবং রাজনৈতিক গুরু উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সেক্রেটারী জামশেদুর রহমানের পরিচয় দিলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এবং ধোপার হাটের দক্ষিণ মাথায় বাবুল টেইলার্সে’র সামনে জনসম্মুখে আমার উপর আক্রমন চালাতে থাকে । আমার উপর বেদম প্রহর চালিয়ে মোটর বাইকে তুলে আমাকে মাইটভাঙ্গা একটি বাগানে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এবং হত্যার চেষ্টা করে। এতে আমার পরিবার ও আত্মীয়রা পুলিশকে খবর দিলে সন্দ্বীপ থানার এস আই রমজানের নেতৃত্বে পুলিশের একাটি টিম মাইটভাঙ্গা ০৫ নং ওয়ার্ডস্থ এলাকা থেকে আমাকে উদ্ধার করে। তবে পুলিশের টের পেয়ে সন্ত্রসীরা পালিয়ে যায়। আমাকে উদ্ধার শেষে পুলিশ আমাকে যেখানে ঘটনার সূত্রপাত সেখানে নিয়ে আসে। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ ঘটনার সত্যতা পায়। পরে পুলিশ আমাকে আমার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন এবং আমার পরিবারকে সন্দ্বীপ থানায় এসে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।

কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো সন্দ্বীপ থানা আমাদেরকে সহযোগিতা র আশ্বাস দিলেও কোন এক অদৃশ্য কারনে এ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

এ ঘটনার প্রধান কারণ হলো আমি উপজেলা বিএনপির সাবেক সেক্রেটারী জামশেদুর রহমানের সাথে রাজনীতি করি। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে গিয়ে হুমায়ুন কবিরের সাথে জামসেদুর রহমানের মতভিন্নতা রয়েছে। এলাকায় সুপথে আদর্শের রাজনীতি প্রতিষ্টা করতে গিয়ে হুমায়ূন কবিরের সাথে মতভিন্নতা সৃষ্টি হওয়ার কারনে হুমায়ুন কবিরের নির্দেশে ৮/১০ জন সন্ত্রাসী বাহিনি এ ঘটনা ঘটায়।

সন্দ্বীপ থানায় আমরা লিখিত অভিযোগে হুমায়ুন কবির কে প্রধান আসামী করে ৬ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করি। আসামীরা হলেন ১। হুমায়ুন কবির (৫০) পিতা আবদুল বাতেন ২। মোঃ মান্না (২৮) পিতা মৃত লাতু ৩। মোঃ শরীপ (২০) পিতা মোঃ শামু ৪। মোঃ ইতু (১৯) পিতা আজাদ ৫। মোঃ আরমান (২৪) পিতা অজ্ঞাত ৬। মোঃ হুমায়ূন (৫০) পিতা মৃত মহিব উল্লাহ। সর্ব মাং মাইটভাঙ্গ ইউনিয়ন।

তবে দুঃখ জনক বিষয় হলো সন্দ্বীপ থানা আমাদের অভিযোগ পত্রটি গ্রহন করলেও কোন ভাবেও রিসিভ কপি দিলেননা। বরণ আসামীদের সেইভ করার চেষ্টা করেন। এবং সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন হুমায়ুন কবির কে অভিযোগ থেকে বাদ দিলে আমরা ব্যাবস্থা নিবো।এ কেমন রাজনৈতিক প্রভাব? যারা এ অন্যায় কে সমর্থন করে প্রভাব পেলছেন? কেন আমরা বিচার পাবোনা? এ প্রশ্নের কোন উত্তর আমাদের কাছে নাই।এমনতোবস্থায় আমি এবং আমার পরিবার সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। যেন অতি-দ্রুত আমার উপর ঘটে যাওয়া ঘটনার তদন্ত সাপক্ষে আইনানু ব্যাবস্থা গ্রহন কারেন।ধন্যবাদ সবাই কে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সন্দ্বীপ প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি এম এ হাশেম, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফয়সাল, দপ্তর সম্পাদক আলী হোসেন , সদস্য ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সন্দ্বীপ শাখার সভাপতি ইলিয়াছ সুমন, ও সন্দ্বীপ সংযোগের নির্বাহী ফসিউল আলম প্রমুখ।