চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার রহমতপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় ছিনিয়ে নেওয়া ভূমি ফেরত, জেগে ওঠা চরে সন্দ্বীপবাসীর অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং জলবায়ু উদ্বাস্তুদের স্থায়ী পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে এসডিআই–কোস্ট ফাউন্ডেশনের সিসিআর প্রকল্পের সহায়তায় ও স্থানীয় সিএসও সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচিতে জেলে, কৃষক, গৃহহীন পরিবার, নারী–তরুণসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এসডিআই সন্দ্বীপ অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. ফসিউল আলম। সঞ্চালনা করেন কমিউনিটি মোবিলাইজার বাদল রায স্বাধীন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রহমতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ–সভাপতি জয়নাল আবেদিন বাকের। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ইউপি সদস্য জামসেদ, ইউনিয়ন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মো. মামুন, সিনিয়র সাংবাদিক ইলিয়াস কামাল বাবু, সুফিয়ান মানিক, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সন্দ্বীপ শাখার সভাপতি ইলিয়াস সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর মোস্তফা আলী হাসান, রহমতপুর ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সিএসও গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক রাহেনা বেগম এবং সিএসও গ্রুপ সভাপতি আক্তারা বেগম। উপস্থিত ছিলেন এসডিআই স্মার্ট প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার মো. এনায়েত উল্যা, শাখা ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
বক্তারা অভিযোগ করেন, জেগে ওঠা চরের ভূমি অন্য জেলার নামে চলে যাওয়ায় হাজারো সন্দ্বীপবাসী গৃহহীন হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছেন। ‘আমার ভিটা, আমার ঘর—তোরা বলিস ভাসান চর’—এই স্লোগানকে তাঁরা সন্দ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের বেদনার প্রতিধ্বনি হিসেবে উল্লেখ করেন। উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের আগে বাস্তুচ্যুত মানুষের পুনর্বাসন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তাঁরা। এ ছাড়া জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য নতুন আশ্রয়ন প্রকল্প, গুচ্ছগ্রাম এবং প্রকৃত ভূমিহীনদের নামে খাসজমি বরাদ্দের দাবি তোলেন।
মানববন্ধন থেকে তিন দফা দাবি জানানো হয়—
১. জেগে ওঠা সব চরের ভূমি সন্দ্বীপবাসীর নামে পুনর্বহাল ও খাজনা গ্রহণ।
২. জলবায়ু উদ্বাস্তু ও ভূমিহীনদের জন্য পর্যাপ্ত আশ্রয়ন প্রকল্প।
৩. সন্দ্বীপ–নোয়াখালী সীমানা বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি।
আয়োজকরা বলেন, সন্দ্বীপবাসীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে।
ইলিয়াছ সুমন, সন্দ্বীপ থেকে 














