চট্টগ্রাম 7:30 pm, Sunday, 3 August 2025

সন্দ্বীপে জামায়াতের আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার অসহযোগ গণআন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সন্দ্বীপ উপজেলা শাখার উদ্যোগে আনন্দ মিছিল ও পথ-সভা ৭ আগষ্ট বিকেল ৩ টায় সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমীর সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ফিরোজ ।
সভা সঞ্চালনা করেন মুছাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা ও উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আবু তাহের ও মাদ্রাসা সুপার মাওঃ শাহাদাৎ হোসেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেল আলাউদ্দিন শিকদার। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের সহ সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ আব্দুল হালিম, সন্দ্বীপ উপজেলা ছাত্র শিবির সভাপতি সাজিদ চৌধুরী, উপজেলা ছাত্র শিবির সহ-সভাপতি জিয়াউল হাসান প্রমুখ।

সভার শুরুতে ছাত্র-জনতার অসহযোগ গণআন্দোলনে শহীদ ছাত্র জনতার আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। সভায় বক্তারা বলেন সকল শহীদের কাছে আজ পুরো জাতি কৃতজ্ঞ। বক্তারা দলের কর্মী সমর্থকদের ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার আহবান জানিয়ে বলেন রাস্ট্রীয় সম্পদ, সাধারন জনগণ, হিন্দু সম্প্রদায় ও তাদের ঘরবাড়ি, মন্দির, সম্পদ আমাদের কাছে আমানত। এসব অতন্দ্র প্রহরীর মতো পাহারা দিতে হবে। কুচক্র মহলের ইন্ধনে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি হলে জামায়াত এর দায় নেবে না।সকল সম্পদ দলের নেতা কর্মিদের পালা করে পাহারা দিতে হবে।

দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার খবরের পর পরই সোমবার বিকালে সন্দ্বীপের চারপাশের ঘাট দিয়ে সন্দ্বীপে আগমন করে হাজার হাজার নির্যাতিত জামায়াত নেতা কর্মি। তারা দুপুরের পর থেকে ব্যনার ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা হাতে খণ্ড খণ্ড মিছিল সহকারে সভারস্থলে উপস্থিত হতে থাকে। সভায় বক্তারা আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা আদালতের মাধ্যমে জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে বিচারিক খুন করে নেতৃত্ব শুন্য করার অপচেস্টা করে। তারা বিরোধী নেতা কর্মিদের গুম, খুন, কারান্তরীন করে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার অপচেস্টা চালায়। বর্বর হাসিনা সরকার জামায়াত নেতৃবৃন্দের সব প্রতিষ্ঠান দখল করে কোটি নেতাকর্মিকে হাজার হাজার মামলা দিয়ে হামলা করে চরম নির্যাতন করে। আয়নাঘর তৈরি করে রাস্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে নেতা কর্মিদের বছরের পর বছর বিনা বিচারে আটকে রাখে। দুর্নীতি মহোৎচ্ছব চালু করে বিদেশে অর্থ পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে নিঃশেষ করে ফেলে। সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মসূচীর সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সন্দ্বীপে জামায়াতের আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

Update Time : 05:57:45 pm, Thursday, 8 August 2024

গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার অসহযোগ গণআন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সন্দ্বীপ উপজেলা শাখার উদ্যোগে আনন্দ মিছিল ও পথ-সভা ৭ আগষ্ট বিকেল ৩ টায় সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমীর সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ফিরোজ ।
সভা সঞ্চালনা করেন মুছাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা ও উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আবু তাহের ও মাদ্রাসা সুপার মাওঃ শাহাদাৎ হোসেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেল আলাউদ্দিন শিকদার। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের সহ সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ আব্দুল হালিম, সন্দ্বীপ উপজেলা ছাত্র শিবির সভাপতি সাজিদ চৌধুরী, উপজেলা ছাত্র শিবির সহ-সভাপতি জিয়াউল হাসান প্রমুখ।

সভার শুরুতে ছাত্র-জনতার অসহযোগ গণআন্দোলনে শহীদ ছাত্র জনতার আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। সভায় বক্তারা বলেন সকল শহীদের কাছে আজ পুরো জাতি কৃতজ্ঞ। বক্তারা দলের কর্মী সমর্থকদের ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার আহবান জানিয়ে বলেন রাস্ট্রীয় সম্পদ, সাধারন জনগণ, হিন্দু সম্প্রদায় ও তাদের ঘরবাড়ি, মন্দির, সম্পদ আমাদের কাছে আমানত। এসব অতন্দ্র প্রহরীর মতো পাহারা দিতে হবে। কুচক্র মহলের ইন্ধনে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি হলে জামায়াত এর দায় নেবে না।সকল সম্পদ দলের নেতা কর্মিদের পালা করে পাহারা দিতে হবে।

দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার খবরের পর পরই সোমবার বিকালে সন্দ্বীপের চারপাশের ঘাট দিয়ে সন্দ্বীপে আগমন করে হাজার হাজার নির্যাতিত জামায়াত নেতা কর্মি। তারা দুপুরের পর থেকে ব্যনার ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা হাতে খণ্ড খণ্ড মিছিল সহকারে সভারস্থলে উপস্থিত হতে থাকে। সভায় বক্তারা আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা আদালতের মাধ্যমে জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে বিচারিক খুন করে নেতৃত্ব শুন্য করার অপচেস্টা করে। তারা বিরোধী নেতা কর্মিদের গুম, খুন, কারান্তরীন করে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার অপচেস্টা চালায়। বর্বর হাসিনা সরকার জামায়াত নেতৃবৃন্দের সব প্রতিষ্ঠান দখল করে কোটি নেতাকর্মিকে হাজার হাজার মামলা দিয়ে হামলা করে চরম নির্যাতন করে। আয়নাঘর তৈরি করে রাস্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে নেতা কর্মিদের বছরের পর বছর বিনা বিচারে আটকে রাখে। দুর্নীতি মহোৎচ্ছব চালু করে বিদেশে অর্থ পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে নিঃশেষ করে ফেলে। সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মসূচীর সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।