চট্টগ্রাম 12:24 pm, Thursday, 3 July 2025

সন্দ্বীপে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, শিক্ষক ব্যবসায়ী গৃহিণী সহ গুরুতর আহত ৬, আটক ২

সন্দ্বীপে ভোররাতে দুটি বসতঘরে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদের হামলায় নারী ও শিশু সহ দুই পরিবারের ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেস গুরুতর আহত হয়েছেন।

রবিবার (৫ মার্চ) ভোরে উপজেলার মগধরা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড ও হারামিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। ( দুটি ঘটনা এক কিলোমিটারের মধ্যে) আহতদের প্রথমে সন্দ্বীপ স্বর্ণদ্বীপ মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করানো হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

জানা গেছে ডাকাত দল গভীর রাতে প্রথমে মালেক মুন্সি বাজারের উত্তরে গোলাম মোস্তফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি ভবনে বাসা ভাড়া নেয়া সিরাজ( ৪০) (ঘরের মালিক রুমি সুত্রে জানা যায় ) বাসার গ্রিল কেটে ভিতরের প্রবেশ করে সিরাজ ও তার স্ত্রী কে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি ভাবে কোপাতে থাকে এবং নগদ টাকা গলার চেইন মোবাইল নিয়ে যায়। বাসার সব আসবাব পত্র তচনচ করে চলে যায়।

এদিকে ভোরে উত্তর মগধরা ভোরে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল মগধরা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী মুস্তাফিজুর রহমান আজিমের ঘরে ঢুকে ডাকাতি করে। এ সময় নগদ টাকা ও মূল্যবান গয়না বের করে দেওয়ার জন্য ডাকাতরা পরিবারের সদস্যদের মারধর করতে থাকে। ডাকাতরা গৃহকর্তা হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী মুস্তাফিজুর রহমান আজিমের বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। একইসাথে আজিমের স্ত্রী সন্দ্বীপ পাবলিক হাই স্কুলের শিক্ষিকা মাইমুনা খানম নিপা ও তার কন্যা শিশুকেও মারধর করে। এ সময় ডাকাতরা তাদের নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইলসহ দামী জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।

মাইমুনা খানম নিপার ভাই সাজিদুল ইসলাম তুহিন জানান, রবিবার ভোরে ডাকাতদল আমার বোনের ঘরে ডাকাতি করে। তাদের ৬ জন অস্ত্র নিয়ে ঘরে ঢুকে টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্রের জন্য বেধড়ক মারধর করে ও কোপাতে থাকে। আমার ভগ্নিপতি আজিমের দোকানে হালখাতা চলছিল। তারা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। পুরো ঘর তছনছ করে গেছে।

আজিম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।ডাকাত দল ভোরে প্রবেশ করে ঘরের গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে লাইট ভেঙে ফেলে কন্যা শিশু কে গলায় অস্ত্র ধরে কি আছে দিয়ে দিতে বললে আজিম অপারগতা প্রকাশ করায় আজিম কে এলোপাতাড়ি ভাবে কোপাতে থাকে ডাকাত দল, বর্তমানে আজিমের অবস্থা আশংকাজনক।ঘটনার পর পর এ ঘটনা পরিদর্শন করছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম রায়হানুল বারি, সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাইনউদ্দীন মিশন, সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা, সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম, মগধরা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, হারামিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন। এদিকে বেলা দেড়টার সময় ঘটনার সাথে জরিত সন্দ্বীপ থানার কুখ্যাত ডাকাত ছগির ও বেলা দুইটার সময় ডাকাত শামীম কে গ্রেফতার করে সন্দ্বীপ থানার পুলিশ।

সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন ঘটনার পর পর আমরা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে দুই ডাকাতকে ধরতে সক্ষম হই, বাকিরা ও আশা করি ধরা পড়বে, শেষ খবর( ৫ মার্চ ৬ টা পর্যন্ত) পাওয়া পর্যন্ত সন্দ্বীপ থানায় কোন মামলা হয় নি, থানা সুত্রে জানা গেছে এজহার দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা বলেন ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক আমরা আইন শৃংখলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য। সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাইনউদ্দীন মিশন বলেন একটি গোষ্ঠী সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমরা মনে করি। আশা করি এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের কে আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত এসপি এবিএম নায়হানুল বারী বলেন আপনারা জানেন গতকাল সীতাকুণ্ড একটি বড় ধরনের ঘটনা ঘটার পর তিন সদস্য তদন্ত কমিটির আমি একজন এত ব্যস্ততার পর ও সন্দ্বীপের এ ঘটনা শুনার পর আমি সন্দ্বীপ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছি, এবং আমরা ঘটনার পর দুইজন কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সীতাকুণ্ডে বন কেটে গড়ে ওঠা কোহিনূর শিপইয়ার্ডে আবারও উচ্ছেদ অভিযান

সন্দ্বীপে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, শিক্ষক ব্যবসায়ী গৃহিণী সহ গুরুতর আহত ৬, আটক ২

Update Time : 06:12:44 pm, Sunday, 5 March 2023

সন্দ্বীপে ভোররাতে দুটি বসতঘরে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদের হামলায় নারী ও শিশু সহ দুই পরিবারের ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেস গুরুতর আহত হয়েছেন।

রবিবার (৫ মার্চ) ভোরে উপজেলার মগধরা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড ও হারামিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। ( দুটি ঘটনা এক কিলোমিটারের মধ্যে) আহতদের প্রথমে সন্দ্বীপ স্বর্ণদ্বীপ মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করানো হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

জানা গেছে ডাকাত দল গভীর রাতে প্রথমে মালেক মুন্সি বাজারের উত্তরে গোলাম মোস্তফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি ভবনে বাসা ভাড়া নেয়া সিরাজ( ৪০) (ঘরের মালিক রুমি সুত্রে জানা যায় ) বাসার গ্রিল কেটে ভিতরের প্রবেশ করে সিরাজ ও তার স্ত্রী কে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি ভাবে কোপাতে থাকে এবং নগদ টাকা গলার চেইন মোবাইল নিয়ে যায়। বাসার সব আসবাব পত্র তচনচ করে চলে যায়।

এদিকে ভোরে উত্তর মগধরা ভোরে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল মগধরা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী মুস্তাফিজুর রহমান আজিমের ঘরে ঢুকে ডাকাতি করে। এ সময় নগদ টাকা ও মূল্যবান গয়না বের করে দেওয়ার জন্য ডাকাতরা পরিবারের সদস্যদের মারধর করতে থাকে। ডাকাতরা গৃহকর্তা হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী মুস্তাফিজুর রহমান আজিমের বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। একইসাথে আজিমের স্ত্রী সন্দ্বীপ পাবলিক হাই স্কুলের শিক্ষিকা মাইমুনা খানম নিপা ও তার কন্যা শিশুকেও মারধর করে। এ সময় ডাকাতরা তাদের নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইলসহ দামী জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।

মাইমুনা খানম নিপার ভাই সাজিদুল ইসলাম তুহিন জানান, রবিবার ভোরে ডাকাতদল আমার বোনের ঘরে ডাকাতি করে। তাদের ৬ জন অস্ত্র নিয়ে ঘরে ঢুকে টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্রের জন্য বেধড়ক মারধর করে ও কোপাতে থাকে। আমার ভগ্নিপতি আজিমের দোকানে হালখাতা চলছিল। তারা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। পুরো ঘর তছনছ করে গেছে।

আজিম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।ডাকাত দল ভোরে প্রবেশ করে ঘরের গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে লাইট ভেঙে ফেলে কন্যা শিশু কে গলায় অস্ত্র ধরে কি আছে দিয়ে দিতে বললে আজিম অপারগতা প্রকাশ করায় আজিম কে এলোপাতাড়ি ভাবে কোপাতে থাকে ডাকাত দল, বর্তমানে আজিমের অবস্থা আশংকাজনক।ঘটনার পর পর এ ঘটনা পরিদর্শন করছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম রায়হানুল বারি, সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাইনউদ্দীন মিশন, সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা, সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম, মগধরা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, হারামিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন। এদিকে বেলা দেড়টার সময় ঘটনার সাথে জরিত সন্দ্বীপ থানার কুখ্যাত ডাকাত ছগির ও বেলা দুইটার সময় ডাকাত শামীম কে গ্রেফতার করে সন্দ্বীপ থানার পুলিশ।

সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন ঘটনার পর পর আমরা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে দুই ডাকাতকে ধরতে সক্ষম হই, বাকিরা ও আশা করি ধরা পড়বে, শেষ খবর( ৫ মার্চ ৬ টা পর্যন্ত) পাওয়া পর্যন্ত সন্দ্বীপ থানায় কোন মামলা হয় নি, থানা সুত্রে জানা গেছে এজহার দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা বলেন ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক আমরা আইন শৃংখলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য। সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাইনউদ্দীন মিশন বলেন একটি গোষ্ঠী সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমরা মনে করি। আশা করি এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের কে আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত এসপি এবিএম নায়হানুল বারী বলেন আপনারা জানেন গতকাল সীতাকুণ্ড একটি বড় ধরনের ঘটনা ঘটার পর তিন সদস্য তদন্ত কমিটির আমি একজন এত ব্যস্ততার পর ও সন্দ্বীপের এ ঘটনা শুনার পর আমি সন্দ্বীপ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছি, এবং আমরা ঘটনার পর দুইজন কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।