সন্দ্বীপে এক প্রবাসী প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করার পর স্ত্রীকে ঘরে তোলার রাতে প্রথম স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
ঘঠনাটি ঘটেছে ২২ জানুয়ারী রোববার দিবাগত রাতে হারামিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মাহরুপ গোমস্তার গৌ এলাকার আনোয়ার হোসেনের নতুন বাড়িতে।
জানা গেছে গত ৩০ ডিসেম্বর প্রবাসী আনোয়ার হোসেন সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে আসেন, পরের দিন সন্দ্বীপ বাড়িতে আসলে স্ত্রী ফাতেমা বেগম (অসুস্থ আগ থেকে) তার সাথে আনোয়ারের ঝগড়াজাটি চলতে থাকে। গতকাল রাতে আনোয়ার হোসেন দ্বিতীয় বিবাহের স্ত্রী ঘরে তুললে প্রথম স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পুলিশের ভাষ্য মতে আনোয়ার হোসেন ৯৯৯ ফোন দিলে সন্দ্বীপ থানার পুলিশ সকালে ঘটনাস্থলে যায়। বেলা ১২ টায় পুলিশ আনোয়ার হোসেন কে সন্দ্বীপ থানায় নিয়ে আসে।
প্রবাসী আনোয়ার হোসেন ও নিহত ফাতেমার ঘরে ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে, দুই মেয়ে গত ২/৩ বছর আগে বিবাহ দেয়া হয়েছে।
নিহত ফাতেমার ভাই ইউছুপ ও নজরুলের ভাষ্য মতো তার বোন কে আনোয়ার হত্য করছে। তারা আরো জানায় আনোয়ার সব সময় আমার বোনকে মারধর করতো, এমনকি ঢাকা চট্টগ্রাম ডাক্তারদেখাতে নেয়ার সময় মারধর করতো।
ফাতেমার মেয়ের জামাই মিনহাজ বলেন আমার শাশুড়ী অসুস্থ ছিল, গতকাল দুপুরে আমি আমার স্ত্রী সহ বেড়াতে আসি শশুর কে বলছি আম্মা অসুস্থ তাকে ডাক্তার দেখাতে হবে সে পারবো না এরা আমার কিছু না আমি বলি তাহলে আমি চট্টগ্রাম নিয়ে যাই আম্মাকে এটা আবার আম্মা না করে বলে তোমার শশুর থাকতে তুমি কেন আমার চিকিৎসা করাবা। পরে আমি আমার বাড়িতে চলে আসি রাতে শুনি এ ঘটনা।
সন্দ্বীপ থানার ওসি তদন্ত জাকির হোসেন বলেন আমরা ঘটনা সরেজমিন প্রত্যক্ষ করছি। আমাদের কে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে । পোস্ট মটমের উপর ভিত্তি করে আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে।
আর কেউ অভিযোগ না করলে পোস্ট মটমের উপর ভিত্তি করে আমরা অপমৃত্যু মামলা করবো।