আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের বর্ষপূর্তির দিনটি “জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস” হিসেবে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) নানা আয়োজনে পালন করেছে চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপ। দিনব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা, গণমিছিল, র্যালি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে দিবসটি পালিত হয়।
সকালে সন্দ্বীপ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০২৪ সালের জুলাই গণআন্দোলনে নিহত শহীদ মাহিন হোসেন সাইমুম-এর কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়। শ্রদ্ধা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মংচিংনু মারমা। এসময় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাধারণ জনতাও শহীদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ও তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
পরে, সকাল ১০টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সন্দ্বীপ উপজেলা শাখার উদ্যোগে সেনের হাট থেকে একটি গণমিছিল বের হয়, যা উপজেলা কমপ্লেক্সে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আলাউদ্দিন শিকদার, উপজেলা আমির মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ফিরোজ, সেক্রেটারি মাওলানা আবু তাহের, এবং ছাত্র শিবির ও যুব বিভাগের নেতৃবৃন্দ।
বেলা ১১টায় বিএনপির পক্ষ থেকে এনাম নাহার মোড় থেকে একটি গণমিছিল বের হয়, যার নেতৃত্ব দেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন। মিছিলটি উপজেলা কমপ্লেক্স গিয়ে শেষ হয়।
বিকেল ৩টায় সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের উদ্যোগে শহরজুড়ে একটি বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
পরবর্তীতে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট আবু তাহের, সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন ঠাকুরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ–এর সন্দ্বীপ উপজেলা শাখা আকবর হাট, শিবের হাট ও এনাম নাহার মোড়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে বিভিন্ন ভিডিও চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
দিনব্যাপী এসব আয়োজনের মাধ্যমে সন্দ্বীপে “জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস” পালন এক ভিন্নমাত্রা পেয়েছে।