চট্টগ্রাম ৩ (সন্দ্বীপ) আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর মনোনয়ন প্রত্যাশী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন এক উঠান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকালে মুছাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড দক্ষিণ সর্দার পাড়ায় আয়োজিত এই উঠান বৈঠকে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি এবং উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।
বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনসমূহের উদ্যোগে আয়োজিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রবীণ রাজনীতিক মমতাজ উদ্দিন। সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন সন্দ্বীপ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব এম এ আজিজ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন বলেন, “আজ দেশ এক গভীর সংকটে। মানুষের বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার ও মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে বিএনপির নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আমি সন্দ্বীপবাসীর পাশে থাকতে চাই, তাদের জন্য কাজ করতে চাই। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনাদের সেবা করতে কোনো কার্পণ্য করব না।”
তিনি আরও বলেন, “সন্দ্বীপ হচ্ছে একটি সম্ভাবনার দ্বীপ। কিন্তু সঠিক নেতৃত্বের অভাবে এই অঞ্চল আজও পিছিয়ে। আমি উন্নয়ন ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি নিয়ে মাঠে নেমেছি।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন:আবুল কাশেম মেম্বার, সহ-সভাপতি, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপি হুমায়ুন মেম্বার, বিএনপি নেতাও এম রব, বিএনপি নেতা মাস্টার মাহাবুবুর রহমান, বিএনপি নেতা আবদুল আলীম মেম্বার, আহ্বায়ক, মুছাপুর ইউনিয়ন যুবদল, এছাড়া যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “দলের ত্যাগী ও অভিজ্ঞ নেতৃত্ব হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেনই হচ্ছেন এই আসনের যোগ্য প্রার্থী। তার মত নেতার হাতেই সন্দ্বীপবাসী তাদের ভবিষ্যৎ নিরাপদভাবে তুলে দিতে চায়।”
স্থানীয় জনসাধারণের সাড়া: বৈঠকে অংশগ্রহণকারী সাধারণ জনগণ ও নেতাকর্মীরা বলেন, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেনের মতো নেতা এ এলাকায় দরকার ছিল অনেক আগে থেকেই। তার ব্যক্তিত্ব, অভিজ্ঞতা ও রাজনীতির প্রতি অঙ্গীকারই তাকে মনোনয়নের জন্য যোগ্য করে তোলে।
উঠান বৈঠকের মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন তার নির্বাচনী মাঠে কার্যত শক্ত অবস্থান জানান দিয়েছেন। এই ধরনের ঘনিষ্ঠ জনসংযোগমূলক কর্মসূচি সন্দ্বীপে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বিএনপির অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।