চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টানা দুই দিনব্যাপী অভিযানে গাঁজা ও ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় আরও একজন আসামি পলাতক থাকলেও তার বিরুদ্ধেও নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই অভিযানে অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন মোল্লার সার্বিক তত্ত্বাবধান এবং জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী দিদারুল আলমের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। দুই দিনে পৃথক তিনটি মামলা অভিযান চলাকালে সন্দ্বীপ থানায় পৃথক তিনটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। প্রথম দিনের (১০ সেপ্টেম্বর) অভিযানে আজিমপুর এলাকা থেকে ৫০ গ্রাম গাঁজাসহ মামুন মাহমুদ (৪৬) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ১৫ সদস্যের একটি দল অংশগ্রহণ করে। পরদিন (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে র্যাব-৭ এবং কোস্ট গার্ড স্টেশন, সন্দ্বীপ এর যৌথ অভিযানে চেউরিয়া এলাকা থেকে ২২ পিস ইয়াবা ও ১৫ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মোহা. ফারুক (৪০) এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়, তবে তিনি পলাতক রয়েছেন। একই অভিযানে ১৮ পিস ইয়াবাসহ আবু তৈয়ব (২৬) নামে আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়।
অভিযানে যৌথ বাহিনীর অংশগ্রহণ অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-৭ এর একজন লে. কমান্ডার। অভিযানে র্যাব-৭ এর ১৬ জন এবং কোস্ট গার্ড স্টেশন, সন্দ্বীপের ৮ জন সদস্য অংশ নেন। অভিযানে সন্দ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক জায়গায় তল্লাশি ও অভিযান পরিচালনা করা হয়।
প্রশাসনের হুঁশিয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, “সন্দ্বীপসহ চট্টগ্রাম জুড়ে আমাদের নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। এই অঞ্চলে মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।”