এ সরকার যদি কোনো কারনে ব্যর্থ হয়, তবে এ দেশ ও জাতির উপর কালো আঁধার নেমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাতে উপ-মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ ও সুবিখ্যাত ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল-জামিয়াতুল আহ্লিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলনের সমাপনী দিনে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আরো বলেন, ক্ষমতা কারো জন্যই চিরস্থায়ী নয়। আমরা এমন একটা নির্বাচন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছি যাতে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজেদের ভোট নিজেরাই দিতে পারেন। জনগণের ভোটে যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন, তাদের কাছেই ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। এবারই জনগণ ১৬ বছর পর নিজের ভোট নিজে দিয়েই প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবেন। ফেসবুক সমাধান নয়, আমাদের ভুল হতে পারে, আপনারা ভুল শুধরে দিবেন, পরামর্শ দিবেন।ধর্ম উপদেষ্টা আমি না হয়ে যদি রহিম করিম যদু মধু অমর জায়েদ হতো, তবে এত কথা উঠত না, আমি মৌলভী হওয়ার কারণে যত কথা। আমি আপনাদের দোয়া চাই যাতে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি।
আমি আপনাদের ছেলে, সন্তান, আপনাদের পাশে আছি থাকবো ইনশাল্লাহ। ”
মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমাদের হাতে সময় কম, নির্বাচন কমিশনার গঠন করেছি। এরপর ভোটার লিস্ট হালনাগাদ করব। হালনাগাদে ভোটার লিস্টে যারা নতুন ভোটার হয়েছে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং মৃত ব্যক্তিরা বাদ যাবে। বহুদিন পর বাংলার মানুষ নিজের পছন্দমত নিজের ভোট নিজেই দিতে পারবে।যাকে পছন্দ তাকে ভোট দিতে পারবে।আপনার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে সেই কথা আর কেউ বলতে পারবে না । অবাধ নিরপেক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে যারা ক্ষমতায় আসবে আমরা তাদের হাতে ক্ষমতা বুঝিয়ে দিব।আমি বারবার বলি আমরা বেশি দিন থাকতে আসি নাই। যারা আসবে তাদের পদ সুগম করতে এসেছি।
মাদ্রাসার মহা-পরিচালক মুফতি খলিল আহমদ কাসেমী আল কুরাইশীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দস্তারবন্দী সম্মেলনে নসিহত পেশ করেন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমির
আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা শেখ আহমদ, আল্লামা মুফতি আহমাদুল্লাহ, আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, মুফতি কিফায়াতুল্লাহ, আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন, মাও: আবু তাহের নাদবী সাহেব মাওলানা মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা হাবীবুর রহমান কাসেমী, মাওলানা লোকমান হাকিম, মাওলানা ওসমান ফয়জী, মাওলানা আজিজুল হক আল মাদানী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাও: সা’দাত হোসাইন সাহেব, মাও: মুফতি নুরুল্লাহ সাহেব, মাওলানা কিফায়াতুল্লাহ আজহারী, আল্লামা আহমাদুল্লাহ প্রমুখ। এছাড়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন,সিটি মেয়র ডাক্তার শাহাদাত হোসেন,বিএনপি’র বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মির হেলাল উদ্দিন।
উল্লেখ্য, হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক (সাবেক) আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয়বারের মতো এ মাদ্রাসার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। বার্ষিক সম্মেলনে দেশ-বিদেশের বহু উলামায়ে কেরাম তসরিফ আনেন বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ । প্রতিষ্ঠানটির বিগত শিক্ষাবর্ষে (১৪৪৪-৪৫ হি.) দাওরায়ে হাদীস (টাইটেল) উত্তীর্ণ তরুণ আলেমদেরকে প্রতিষ্ঠানের নাম ও মনোগ্রাম খচিত সম্মানসূচক পাগড়ি প্রদান করা হয়।