হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় মুহতারাম আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ্ বাবুনগরী হাফিজাহুল্লাহ বলেছেন, ‘টঙ্গী ময়দানের ঘটনা দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নয়, মূলত সাদিয়ানী গ্রুপের হক্কানী ওলামা কেরামের উপর হকপন্থী তাবলীগ ওয়ালাদের উপর ঘুমন্ত অবস্থায় অতর্কিত করা হামলা। ওরা খুনি, হত্যাকারী, ওদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এই সাদিয়ানি গ্রুপকে অত্র এলাকার প্রতিটি মসজিদ থেকে বিতাড়িত করতে হবে।’
হেফাজতে ইসলাম এর হাটহাজারী উপজেলা, পৌরসভা ও সকল ইউনিয়নের দায়িত্বশীলদের নিয়ে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও কর্মী সম্মেলনে প্রধান মেহমানের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে সংগঠনটির হাটহাজারী উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় পৌরসদরের স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ কর্মশালা ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতি মোহাম্মদ আলি কাসেমী সাহেবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এমরান শিকদার, যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ মোরশেদ আলম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আসাদ উল্লাহর যৌথ সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নায়েবে আমীর মাওলানা মুফতী জসিম উদ্দিন, মাওলানা হাবিবুর রহমান কাসেমী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আল্লামা মুফতি কিফায়াত উল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মীর ইদরীস নদভী, মাওলানা নাসির উদ্দীন মুনীর, মাওলানা হারুন ইজহার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা বশির উল্লাহ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা জাফর আহমদ। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে আহসান উল্লাহ, মাওলানা কামরুল ইসলাম কাসেমী, মাওলানা জুনায়েদ বিন ইয়াহিয়া, মাওলানা নিজাম সাইয়িদ, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম মেহেদী, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ আশরাফ হোসাইন, মাওলানা জাহাঙ্গীর জাফরাবাদী, মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে রিলায়েন্স শিপিং এন্ড লজিস্টিক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো.রাশেদ, ইলিয়াস তালুকদার, নুর মুহাম্মদ, হাফেজ আবদুল মাবুদ, মাওলানা হাফেজ মোস্তফা, মাওলানা হাফেজ শফিউল আজম, আবু তাহের রাজিব, মাসউদুর রহমান চৌধুরী,মাওলানা বশিরুল করিম, মো.রাশেদসহ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ হাটহাজারী উপজেলা, পৌরসভা ও সকল ইউনিয়নের দায়িত্বশীলবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত মেহমানবৃন্দরা বলেন, ইসলামের হেফাজতের জন্য, হেফাজতে ইসলামকে শক্তিশালী করা ব্যতীত বিকল্প কোন পথ নেই, সেজন্য হেফাজতে ইসলামকে শহর থেকে গ্রাম, গ্রাম থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে। প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড কমিটি করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, ইসকন একটি জাতীয় ক্যান্সার, এটাকে পুরো দেশ থেকে নির্মূল করতে হবে।
বর্তমান সাদিয়ানী ফিতনা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে, এটা একটি বাতিল ফিরকা, এই ফিরকা থেকেও মানুষকে বাঁচাতে হবে।