আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড, আকবরশাহ ও পাহাড়তলী আংশিক) সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়ন মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী (এফসিএ) কে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবীতে নগরীর একেখান মোড় থেকে সীতাকুণ্ডের শেষ প্রান্ত বড়দারোগাহাট পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার মহাসড়কজুড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এ মানববন্ধনে অংশ নেয়।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে এ মানববন্ধন চলে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত। ৪০ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্পটে সীতাকুণ্ড উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও মহানগরীর ২টি ওয়ার্ডের বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ মানববন্ধনে অংশ নিয়ে আসলাম চৌধুরীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবী করে বিভিন্ন স্লোগান দেন ও বক্তব্যে এর যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।
এসময় বিভিন্ন স্থানে বক্তব্যে নেতাকর্মীরা বলেন, আসলাম চৌধুরী একজন মজলুম জননেতা। কেবল রাজনৈতিক কারণে চার দফায় তিনি প্রায় ১১বছর জেলখানায় কাটিয়েছেন। নিজের ব্যবসা বাণিজ্য, ধন-সম্পদ বিসর্জন দিয়ে দলের নীতি আদর্শ ধরে রেখে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় দুই ভাইয়ের মৃত্যু হলেও যিনি মনোবল হারাননি, কোনো আঁতাত করেননি এই রকম দৃঢ় প্রত্যয়ী নেতাকে মনোনয়ন না দেয়া একধরণের অবজ্ঞার শামিল।
মানববন্ধনে নেতা-কর্মীরা দাবী করেন, আসলাম চৌধুরী দীর্ঘ ১৭ বছর সীতাকুণ্ডে বিএনপিকে আগলে রেখেছেন। আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে একাধিকবার তিনি জেল খেটেছেন। দলের দুঃসময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মামলা, হামলা, জেল-জুলুম আর নির্যাতনে তার ১৭ বছরের ত্যাগ এত সহজে উপেক্ষা করা যায় না। কারাগারে থাকাকালেও নেতা-কর্মীদের জামিন, আর্থিক সাহায্য ও পারিবারিক খোঁজখবরের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন। যে নেতা দুর্দিনে পাশে থাকে, তাকে বঞ্চিত করা মানে তৃণমূলকে অপমান করা।
বক্তারা আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে রাজপথে আন্দোলন যখন টালমাটাল, তখন আসলাম চৌধুরী মিছিলের সামনে থেকে রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই ত্যাগী নেতাকে মূল্যায়ন করা না হলে ভবিষ্যৎ আন্দোলন সংগ্রামে কোনো নেতা জীবন বাজি রেখে রাজপথে দাঁড়াবে না। আসলাম চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া না হলে সীতাকুণ্ডে তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে কঠিন আন্দোলনে যাওয়ার কথাও বলেন তারা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সীতাকুণ্ড বিএনপির সাবেক আহবায়ক ডা. কমল কদর, পৌর বিএনপির আহবায়ক জাকির হোসেন, সদস্য সচিব সালেহ আহম্মদ সলু, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য জহুরুল আলম জহুর, ইউসুফ নিজামী, যুবদলের সহ-সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য বখতিয়ার উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক মোঃ ফজলুল করিম চৌধুরী, মোহাম্মদ মোরছালিন, বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সালামত উল্লাহ, সৈয়দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. আইনুল কামাল, মুরাদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান হিরু, সৈয়দপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনসন আলী, সহ-সভাপতি মোঃ মহসিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সৈকত, বিএনপি নেতা মোজাহের উদ্দিন আরশাফ, মোঃ জিয়াসহ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীরা।
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 


















