চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মসজিদ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আহত হয়ে থানায় অভিযোগ করেছে সোহেল উদ্দিন নামক এক ভুক্তভোগী। তিনি উপজেলার ৮ নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ফুলতলা এলাকার মোঃ নুর নবীর ছেলে। ৪ এপ্রিল শুক্রবার রাত দশটায় সোনাইছড়ি ইউপির ৫ নং ওয়ার্ডস্থ বাইতুল্লাহ আমান জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, ৮নং সোনাইছড়ি বাইতুল্লাহ আমান জামে মসজিদে কমিটি নিয়ে একটি আলোচনা সভা হয়। আলোচনার মাঝে কমিটির সভাপতিকে অব্যাহতি দেওয়ায় লোকজন বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসময় বাদী সোহেল উদ্দিন মসজিদে উচ্চ বাক্যে কথা বলতে নিষেধ করলে বিবাদী ০১। মোঃ আকবর (৫০), পিতা- শামসুদ্দৌহা, ০২। জহির উদ্দিন প্রঃ জুয়াড়ী বাবুল (৫২), পিতা- শামসুদ্দৌহা, ০৩। মোঃ মারুফ (১৯), পিতা- বাবর, ০৪। মোঃ নোমান (১৮), পিতা- বাবর, ০৫। মোঃ সুজন (২৩), পিতা- শেখ আহম্মদ, ০৬। মোঃ বাপ্পি (২০), পিতা- ফসিউল আলম, সর্বসাং- দক্ষিণ সোনাইছড়ি, ফুলতলা, (শামসুদ্দৌহার বাড়ী) ০৮ নং সোনাইছড়ি ইউপি, থানা-সীতাকুড, জেলা- চট্টগ্রাম। সবাই শরীরের বিভিন্ন স্থানে লুথি, ঘুষিসহ শক্ত কাঠ দিয়ে মারিয়া নীলা ফুলা জখম করেন। ভুক্তভোগী অভিযোগে উল্লেখ করেন ২নং বিবাদী জহির উদ্দিন প্রঃ জুয়াড়ী বাবুল জায়গা জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
বিবাদী জহির উদ্দিন প্রঃ জুয়াড়ী বাবুল মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানান, ৫ আগস্ট এর আগে থেকেই আমি মসজিদের সভাপতি। মোতয়াল্লি (শফি কন্ট্রাকটর) কোন আলোচনা ছাড়াই আমাকে সভাপতি থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় মসজিদে বাক-বিতণ্ডা হয়েছে। এর বেশি কিছু ঘটেনি। জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন বিবাদীর সাথে তার জায়গা জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধ নিয়ে মামলা চলছে।
এ ঘটনায় ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পরিদর্শনে যাওয়া সীতাকুণ্ড মডেল থানার এস আই জাকির হোসেন জানান, সোনাইছড়ি বায়তুল্লাহ আমান জামে মসজিদের মোতয়াল্লি (শফি কন্ট্রাকটর) মসজিদ কমিটির সভাপতিকে অব্যাহতি দিলে সেখানে দুই পক্ষ বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এবং উভয়পক্ষ শোডাউন দেন। ওই সময় আমরা গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি। পরে ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করেছেন বলে জেনেছি যা তদন্তাধীন।