চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর তৌহিদুল হক চৌধুরীকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) উপজেলা রুকন সম্মেলনে কেন্দ্রীয় জামায়াতের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। সে সময় তিনি সীতাকুণ্ড উপজেলা জামায়াতের আমীর পদে দায়িত্বে ছিলেন। বহিষ্কারের পর তার রুকন (সদস্য) পদও বাতিল করা হয়। ফলে তিনি উপজেলা আমীরের দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি পান।
সাময়িক বহিষ্কারের পর তাকে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে ‘পর্যবেক্ষণে’ রাখা হয়। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও শৃঙ্খলা ফিরে না আসায় কেন্দ্রীয় জামায়াত তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। দলীয় সূত্র মতে, এই বহিষ্কারের ফলে তিনি আর জামায়াতে ইসলামীর কোনো সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, রুকন সম্মেলনে জানানো হয়েছে, তৌহিদুল হক চৌধুরী আর জামায়াতের কেউ নন। সে মোতাবেক আমরা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দফতরে বিষয়টি অবহিত করেছি। তার কোনো কর্মকাণ্ডের দায়ভার জামায়াত নেবে না।
তৌহিদুল হককে বহিষ্কারের কারণ জানতে চাইলে জামায়াতের উত্তর জেলা আমীর আলাউদ্দিন সিকদার বলেন, সাধারণত শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সংগঠন এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য এড়িয়ে যান তিনি। তার ভাষায়, “এসব সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিষয়।‘’
এদিকে বহিষ্কারের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তৌহিদুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, “আমাকে বহিষ্কার করা হয়নি। তবে সংগঠনের পক্ষ থেকে দলীয় কোনো কার্যক্রমে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।