দীর্ঘদিন মিটিং শূন্য হলেও থেমে থাকেনি রক্তদান, রক্তদানের পাশাপাশি সামাজিক কাজগুলো করার লক্ষে ও ১৪ই জুন বিশ্ব রক্তদাতা দিবস পালন করার লক্ষে এ্যাডমিন প্যানেলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ সীতাকুণ্ড সরকারী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় শহীদ মিনার চত্বরে সংগঠনের মিলন মেলা ও মাসিক মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়৷
উক্ত মিটিংয়ে উপস্হিত ছিলেন বর্তমান সভাপতি মোঃ-জাহিদুল ইসলাম রুমন,সাবেক সহসভাপতি নাজমুল সোহেল,সহ সভাপতি এলিট, জিকু, বিপু, সাদেক, নওশাদ,নাজিম উদ্দিন, তুহিন,মুন্না, আনোয়ার,আবির,ইমন হোসেন,হারুনুর রশিদ,বেলাল আকরাম,আসিফ,রাকিব সহ প্রমুখ
সবাই নিজেদের মধ্যে রক্তদান নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন,
নওশাদ বলেন দিনে ও রাতে সবসময় রক্তদানে প্রস্তুত থাকে ব্লাড ডোনার্স সোসাইটির সদস্যরা।
সদস্য বেলাল বলেন আমরা যেভাবে রক্তদানে এগিয়ে আসি প্রতিটি পরিবারের মানুষ যদি এভাবে এগিয়ে আসে তাহলে রক্তের অভাব হতোনা সারা বাংলাদেশে।
সংগঠনের সভাপতি বলেন রুমন বলেন সংগঠন অনেক আছে কে কি করছে সেটা না ভেবে নিজেদের কাজে এগিয়ে যেতে হবে,আমরা যারা বাস্তবে মন থেকে কাজ করছি কিছু পাওয়ার আসা নেই একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনার জন্য, ২০১৩সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা হয় ৩-৪জন নিয়ে, কিন্তু আজ বিশাল একটা প্লাটফর্ম এ আমরা হাতে হাত রেখের কাজ করার সুযোগ পেয়েছি বলে আজ সীতাকুণ্ড ব্লাড ডোনার্স সোসাইটির একজন গর্ভিত সদস্য বলে নিজেকে জানান দিতে পারি।
সংগঠনের সহ সভাপতি এলিট বলেন গর্ভবতী নারি থেকে শুরু করে ছোট -বড় সকলে বর্তমানে এন্ড্রোয়েট ফোন সকলে ব্যাবহার করছি আমরা যে যার অবস্হান থেকে চাইলে রক্ত ম্যানেজ করতে পারি গর্ভবতী মায়ের জন্য হোক,যে কোন রোগির জন্য হোক,শুধু হাতে হাত রেখে কিছুটা সময় অনলাইনে সময় ব্যায় করলে।
সাবেক সভাপতি নাজমুল সোহেল বলেন আমি নিজে কখনো কাউকে রক্তদিতে পারিনি, কিন্তু আমার শরীরে অনেক রক্ত লেগেছে অনেক কষ্টে তা আমার পরিবার বন্ধু -বান্ধব আত্বীয় ম্যানেজ করতো, আমার শরীরে রক্ত দেয়ার পর সুস্হ হয়ে আমিও নেমে পড়লাম যাদের রক্তের প্রয়োজন হয় ম্যানেজ করার চেষ্টা করি দিন -রাত সেই থেকে আজও এ সংগঠনে আছি।
নাজিম বলেন যত দূরে থাকিনা কেন ৩মাস পার হলেই চিন্তা করি কবে রক্তদান করবো, এবং মিটিং বা সংগঠনের কোন পোগ্রাম হলেই কেন জানি চলে আসি বুঝে উঠতে পারিনা মায়ার বাধন বুঝি সীতাকুণ্ড ব্লাড ডোনার্স সোসাইটি পরিবার।।