সীতাকুণ্ড মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক কর্মচারী সিলিং ফ্যানের সাথে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহত ব্যক্তির নাম সরোয়ার জাহান (২৫)। তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার সাতপুর গ্রামের মোহাম্মদ ইয়াসিন আলীর ছেলে এবং সীতাকুণ্ড মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৬মাস ধরে চাকরী করছেন।
জানাযায়, গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে সীতাকুণ্ড পৌরসদরের উত্তর বাইপাসে সীতাকুণ্ড মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার সংলগ্ন ভূঁইয়া টাওয়ারে এই ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের কর্মচারীরা হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী ভূঁইয়া টাওয়ার কর্মচারী রুমে রাত্রী যাপন করে। গত মঙ্গলবার রাতে তার নাইট ডিউটি ছিল। কিন্তু বিল্ডিংয়ের কেয়ারটেকার রুমে গিয়ে দেখে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে ঝুলে আছে সরোয়ার জাহান।
সীতাকুণ্ড মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘সে হাসপাতালে চাকরী নিয়োগের পর থেকে শারীরিক জটিলতা ও মানসিক সমস্যায় ছিল।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান জানান, ভূঁইয়া টাওয়ার বিল্ডিংয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে সমস্যায় ছিলেন, হয়তো টেনশনে আত্মহত্যা করেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।