হাটহাজারীতে আবুল ফয়েজ (৫০) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ।
রবিবার (০৯ জুন) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পট্টি ৪নং ওয়ার্ডের (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১ নং গেটের উত্তরে) মামুন সেন্টারের ১২৬ নং কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
সে ফটিকছড়ি উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়াডস্থ বাদশা মিয়ার বাড়ীর মৃত শামসুল আলমের পুত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবাস (কাতার) আবার কেউ কেউ বলেছেন জেল থেকে ৭/৮ মাস পূর্বে জামিনে বেরিয়ে আসা দুই সন্তানের পিতা ফয়েজ উল্লেখিত মামুন সেন্টারের ভাড়া বাসার ১২৬ নং কক্ষে থাকতেন। আর এক বছর ও সাড়ে আট মাস বয়সী দুই সন্তান নিয়ে স্ত্রী থাকতেন বাবার বাড়ীতে। মাঝে মধ্যে আসতেন স্বামীর বাসায়। ঘটনারদিন স্ত্রী বাসায় এসে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখেন এবং দীর্ঘক্ষন ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল করে ঘটনা জানান। পরে নিকটস্থ হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘরে ঢুকে ফয়েজের লাশ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিচে নামান।
এদিকে রাত প্রায় সাড়ে দশটার দিকে নিহতের বাড়ি ফটিকছড়ি উপজেলার ধর্মপুর এলাকার বাসিন্দা শাহাদাৎ হোসেন জানান, আত্নহননকারী ফয়েজ হত্যার দায়ে জেলে ছিলো। ৬/৭ মাস পূ্বে জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে হাটহাজারী এলাকায় বসবাস করছিলো সে।আর আজ শুনলাম তার নাকি ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
লাশ উদ্ধারকারী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আলী আকবর জানান, আশে পাশের লোকজন এবং নিহতের আত্নীয় স্বজন জানিয়েছেন ফয়েজের নামে নাকি ফটিকছড়ি থানার একটি হত্যা মামলা ছিলো। গত ৭/৮ মাস পূর্বে জামিনে আসে সে। মামলাটি নিয়ে সে ডিপ্রেশনে ছিলো বলেও জানায় তার আত্নীয় স্বজনরা।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান লাশ উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।