হাটহাজারীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে টপ সয়েল কাটার অপরাধে এবার কামাল মিয়া এবং আলম নামের দুই ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরের দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া এলাকায় আবাদযোগ্য কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে স্কেবেটরের সাহায্যে টপ সয়েল (জমির উপরিভাগের মাটি) কাটা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিক্তিতে অভিযান চালান উপজেলা প্রশাসন। এসময় জিজ্ঞাসাবাদে টপসয়েল কাটার কাজে জড়িত ব্যক্তি কামাল মিয়া, পিতা: রফিক এবং আলম পিতা : সামসুল আলম তাদের অপরাধ স্বীকার করায় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী তাদের দুজনকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট একলক্ষ টাকা অর্থদন্ড দিয়ে তা ডিসিআর মূলে আদায় করে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়। অভিযান পরিচালনার সময় হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশের একটি টিম সাথে থেকে সহযোগিতা করেন।
এদিকে স্থানীয় সচেতন মহল বলেন, এতোবড় অপরাধের সাজা সামান্য টাকা হলে অপরাধ কখনই রোধ করা যাবে না। মূলত এসব অবৈধকাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ড্রাম ট্রাক, স্কেবেটর ইত্যাদি জব্দ করতে হবে। পাশাপাশি জরিমানার সংখ্যাও সর্বোচ্চ করতে হবে, সম্ভব হলে কারাদন্ড প্রদান করতে হবে। এছাড়াও দন্ডিত অপরাধীর নাম পরিচয় নিয়ে যাতে প্রতারনা করতে না পারে বা মিথ্যা পরিচয় দিতে না পারে সেজন্য অপরাধীর এনআইডি কার্ড অনুযায়ী নাম ঠিকানা ছবি প্রকাশ করতে হবে।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান এ প্রতিবেদককে বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২১ মার্চ মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ধলই ইউনিয়নের হাতিমাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে টপসয়েল কাটার অপরাধে আরমান পিতা: জালাল আহমেদ ৫০ হাজার এবং গত ০৯ মার্চ শুক্রবার অভিযান চালিয়ে উপজেলার ৩নং মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া শিকদার পাড়ায় আবু সাইদ পিতা আবদুস সাত্তার নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা এবং ২৩ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার ধলই ইউপির কাটিরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবু সাইদ পিতা: তহিদুল আলম নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিলো।