চট্টগ্রাম 1:24 pm, Friday, 31 October 2025

হাটহাজারীতে টাইফয়েড বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালা 

হাটহাজারীতে টাইফয়েড টিকা বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ এই কর্মশালার আয়োজন করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে আয়োজিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তাপস কান্তি মজুমদার। কর্মশালার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে, টিকা নেবো দল বেঁধে। ডাঃ আরিফ বিন রশিদ, ডাঃ তানভীর আহমদ, ডাঃ রাশেদুল ইসলাম,ডাঃ ইমরান, ডাঃ লক্ষী পদ দাশ, ডাঃ রাসেল, ডাঃ শারমিন সামসুদ্দিন, ডাঃ লিপিকা চৌঃ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হো) প্রতিনিধি ডাঃ জাহিদ হোসেন প্রমূখ ছাড়াও  কর্মশালায় চিকিৎসক, নার্স, গণমাধ্যমকর্মী, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা / কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, টাইফয়েড একটি পানিবাহিত রোগ। আমাদের উচিত পানি পানের বিষয়ে আরো সচেতন হওয়া। টাইফয়েড থেকে বাঁচার জন্যে আমাদের সকলের বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। টিকা নিয়ে সহজেই টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধ করা সম্ভব। মনে রাখতে হবে অনেকেই সমাজে করোনা টিকার কারণে স্ক্যাবিস সহ নানা চর্মরোগ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে বলে ভুল তথ্য ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। আসলে বিষয়টি সঠিক নয়, এটি একটি গুজব মাত্র । সুশিক্ষা ও সচেতনতার অভাবই এই কুসংস্কার বা গুজবের জন্যে দায়ী। মনে রাখতে হবে, টাইফয়েড একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ যা উচ্চ জ্বর, ডায়রিয়া এবং অন্যান্য গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে। টাইফয়েড রোগের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হলো টিকাদান। টাইফয়েড টিকা শিশুদের জীবন রক্ষা এবং সুস্থ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এক অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। তাই প্রতিটি শিশু যাতে টাইফয়েডের মতো মারাত্মক রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকে, তার জন্য আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। এই টিকা শুধু একটি ছোট্ট ইনজেকশন বা একটি ক্যাপসুল নয়, এটি শিশুদের সুস্থ শৈশব এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের চাবিকাঠি।

সরকারীভাবে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে (টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন) (TCV) প্রতিটি শিশুকে ১ ডোজ (০.৫ এমএল) টিকা দেওয়া হবে। এই টিকা প্রাপ্তির বয়সসীমা ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশু-যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত (প্লে, নার্সারি থেকে নবম শ্রেণি বা সমমান) এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত শিশুরাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সীতাকুণ্ডে ‘ভাবির হোটেল’কে মোবাইল কোর্টে জরিমানা

হাটহাজারীতে টাইফয়েড বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালা 

Update Time : 09:25:55 pm, Thursday, 11 September 2025

হাটহাজারীতে টাইফয়েড টিকা বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ এই কর্মশালার আয়োজন করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে আয়োজিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তাপস কান্তি মজুমদার। কর্মশালার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে, টিকা নেবো দল বেঁধে। ডাঃ আরিফ বিন রশিদ, ডাঃ তানভীর আহমদ, ডাঃ রাশেদুল ইসলাম,ডাঃ ইমরান, ডাঃ লক্ষী পদ দাশ, ডাঃ রাসেল, ডাঃ শারমিন সামসুদ্দিন, ডাঃ লিপিকা চৌঃ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হো) প্রতিনিধি ডাঃ জাহিদ হোসেন প্রমূখ ছাড়াও  কর্মশালায় চিকিৎসক, নার্স, গণমাধ্যমকর্মী, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা / কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, টাইফয়েড একটি পানিবাহিত রোগ। আমাদের উচিত পানি পানের বিষয়ে আরো সচেতন হওয়া। টাইফয়েড থেকে বাঁচার জন্যে আমাদের সকলের বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। টিকা নিয়ে সহজেই টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধ করা সম্ভব। মনে রাখতে হবে অনেকেই সমাজে করোনা টিকার কারণে স্ক্যাবিস সহ নানা চর্মরোগ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে বলে ভুল তথ্য ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। আসলে বিষয়টি সঠিক নয়, এটি একটি গুজব মাত্র । সুশিক্ষা ও সচেতনতার অভাবই এই কুসংস্কার বা গুজবের জন্যে দায়ী। মনে রাখতে হবে, টাইফয়েড একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ যা উচ্চ জ্বর, ডায়রিয়া এবং অন্যান্য গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে। টাইফয়েড রোগের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হলো টিকাদান। টাইফয়েড টিকা শিশুদের জীবন রক্ষা এবং সুস্থ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এক অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। তাই প্রতিটি শিশু যাতে টাইফয়েডের মতো মারাত্মক রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকে, তার জন্য আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। এই টিকা শুধু একটি ছোট্ট ইনজেকশন বা একটি ক্যাপসুল নয়, এটি শিশুদের সুস্থ শৈশব এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের চাবিকাঠি।

সরকারীভাবে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে (টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন) (TCV) প্রতিটি শিশুকে ১ ডোজ (০.৫ এমএল) টিকা দেওয়া হবে। এই টিকা প্রাপ্তির বয়সসীমা ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশু-যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত (প্লে, নার্সারি থেকে নবম শ্রেণি বা সমমান) এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত শিশুরাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।