হাটহাজারীর ফরহাদাবাদে গৃহবধূ ফাহমিদা আক্তার তারিন (২৪) এর গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত নিহতের স্বামী আরকাদুল ইসলাম প্রকাশ রুবেল (৩৮) ও মোঃ আরফাত (৩৩) দুই ভাইকে আটকের পর কোর্ট হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) দুপুরের দিকে আটককৃতদের কোর্ট হাজতে প্রেরন করা হয়। আটককৃত আরকাদুল ইসলাম রুবেল ও তার ভাই মো.আরফাত উপজেলার ১নং ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডস্থ নুর আলী মিয়ারহাট সংলগ্ন লাতু চৌধুরী বাড়ির পেশকার মরহুম শফির পুত্র।
এর আগে নিহতের বড় ভাই মো.শাহেদ আলম বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় গত বুধবার দিবাগত রাতে নিহতের স্বামী, দেবর ও শ্বাশুরীসহ তিনজনকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করা হয় যার মামলা নং ১২। থানায় মামলা রেকর্ড করার পর পুলিশ ওই রাতেই নিহত তারিন এর স্বামী ও তার ভাই আরাফাত কে তাদের নিজ বসত ঘর থেকে আটক করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে নাজিরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব ফরহাদাবাদস্থ খান মোহাম্মদ তালুকদার বাড়ির মো.জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে ফাহমিদা আক্তার তারিন এর সাথে হাটহাজারী উপজেলার ১নং ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নুর আলী মিয়ারহাট সংলগ্ন লাতু চৌধুরীর বাড়ির পেশকার মরহুম মো.শফির পুত্র আরকাদুল ইসলাম রুবেলের সাথে পারিবারিকভাবে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের বছর খানেক তাদের সংসার সুখেই চলছিল। তাদের সংসারে আফরা চৌধুরী আয়না (৩) নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের বছর খানেক পর থেকে মামলার বাদীর বোনের সাথে নানা বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হতে থাকে। এই ঘটনার জের ধরে তারিন আত্মহত্যা করে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। পরে সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরুত হাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে।
হাটহাজারী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল আলম আটকের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃত দুই ভাইকে বৃহস্পতিবার কোর্ট হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে মামলার বাদী নিহতের ভাই শাহেদ আলম এ প্রতিবেদককে জানান, ময়না তদন্তের পর আমার বোনের লাশ বিকালের দিকে আমাদের বাড়ীতে নিয়ে এসেছি। বাদে মাগরিব জানাজা নামাজ শেষে আমাদের পারিবারিক কবরস্থানে আমার মরহুমা বোনের লাশ দাফন করা হয়েছে।