হাটহাজারী মডেল থানায় পুলিশের কর্মকর্তা সহ অন্যান্য সদস্যরা ফিরতে শুরু করেছেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে এগারটার দিকে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান এ প্রতিবেদককে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো.ময়নুল ইসলামের আহবানে টানা ৪ দিন পর শনিবার দুপুরের দিকে তারা কর্মস্থলে যোগ দেন।
বর্তমানে থানায় পুলিশ অবস্থান করলেও তারা কাজ শুরু করেননি। তবে খুব তাড়াতাড়ি পুরোপুরি পুলিশিং শুরু করা হবে বলে জানা গেছে। থানায় তাদের পাশাপাশি নিরাপত্তা দিতে শুরু করেছে সেনা সদস্যরাও।
এদিকে পুলিশ না থাকায় হাটহাজারীর ট্রাফিক কন্ট্রোল নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা। তারা বাজারের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে সুন্দর ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন। করছেন আমেপাশে পরিষ্কার ও সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজও। বর্তমানে হাটহাজারীর পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। দোকান পাট সব খুলেছে। মানুষের উপস্থিতিও বাড়ছে।সেনাবাহিনীর টহলও দেখা যাচ্ছে।
এদিকে শনিবার সকালের দিকে পুলিশকে কর্মস্থলে ফিরতে উৎসাহিত করে মডেল থানার সামনে হাটহাজারী যুব ব্যবসায়ী সমিতি এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান শনিবার রাত সাড়ে এগারটার দিকে এ প্রতিবেদককে জানান, জিডি নেওয়ার মতো কিছু সেবা চালু কাল পরশুর মধ্যে শুরু করবো। সার্ভার ঠিক হলে অনলাইন কার্যক্রমও শুরু হবে। বর্তমান সরকার ও বালাদেশ সেনা বাহিনীর সদস্যরা আমাদের সাহায্য করছেন। জনগণের সেবা করার জন্য আমরা প্রস্তুত।
প্রসংগত, ছাত্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশের অন্যান্য এলাকার মতো হাটহাজারী মডেল থানায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলে পুলিশ আত্নরক্ষার্থে দুর্বৃত্তদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারসেল ও গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় প্রায় ৭/৮ জন। এর জের ধরে এ উপজেলার মডেল থানায় পুলিশ শূন্যতা তৈরি হয়।