চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সন্দ্বীপ কলোনিতে মেয়ের অপহরণ ও জোরপূর্বক বিয়ের ঘটনা নিয়ে আয়োজিত এক সালিশি বৈঠকে ফখরুল ইসলাম (৫৮) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নুর আলম (৪২) ও মো. মুসলিম (৪৫) নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে হাটহাজারী থানাধীন চসিক ১ নম্বর ওয়ার্ডের সন্দ্বীপ কলোনির আমতলী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়,গত ২৭ জুলাই নিহত ফখরুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতুল মায়মুনা রুমিকে স্কুল থেকে ফেরার পথে রিফাত নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা জোরপূর্বক নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাকে বিয়ের রেজিস্টারে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় জিডি করলে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
এই ঘটনার নিষ্পত্তির জন্য শুক্রবার রাতে উভয় পক্ষকে নিয়ে একটি সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকের এক পর্যায়ে মেয়ের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শোনার সময় ছেলে ও মেয়ে পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় মেয়ের বাবা ফখরুল ইসলামের ওপর হামলা চালানো হলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও হাটহাজারী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ইমরান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
তবে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী তারেক আজিজ জানিয়েছেন, লাশের শরীরে বাহ্যিকভাবে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।