চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপির নুরুল আমিন চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক নুরুল আমিন গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের নিজামপুর কলেজ এলাকায় এই সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেনঃ আরিফ (৩০), শাকিব (২৬), নজরুল ইসলাম (৪১), সাইফুল ইসলাম, আরমান (২০), কামরুল হাসান (৩৭), হিমেল (২৬), আনোয়ার (৩৫), হাসান (৩৪), মফিজুল করিম (৩৪), সুমন, শহীদুল্লা, রাসেল। আহতদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আরমানের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের সরকার বাড়ির লোকজন ও চামলাশি বাড়ির লোকজনের মধ্যে এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত কয়েক দিন উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শুক্রবার দুপুরে আধিপত্যকে বিস্তার করে এক পক্ষ আরেক পক্ষের উপর চড়াও হলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান সালা উদ্দিন সেলিম বলেন, মূলতঃ সরকার বাড়ি ও চামলাশি বাড়ির লোকজন বিএনপির সমর্থক। এদের মধ্যে সরকার বাড়ির লোকজন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের সমর্থক। সরকার বাড়ির লোকজন ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক চামলাশি বাড়ির বাসিন্দা আরিফের ঘরে হামলা চালায়। হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে দুই পক্ষে মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দুই পক্ষে কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান বলেন, নিজামপুর এলাকায় দুই বাড়ির মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকে বিএনপির দুই পক্ষে লোকজন সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখনো বিস্তারিত কিছু জানি না।
মিরসরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) আব্দুল কাদের বলেন, নিজামপুর কলেজ এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। এখনো কারো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।