ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সন্দ্বীপ উপকূল জুড়ে সর্তকবার্তায় উপজেলা প্রশাসন, জনসাধারণ কে নেয়া হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রে। সোমবার সারাদিন সরেজমিনে গিয়ে দেকা যায় সন্দ্বীপের সর্ব দক্ষিণের ইউনিয়ন সারিকাইতের বাংলা বাজার এলাকায় কোস্টগার্ড সন্দ্বীপ থানা পুলিশ, উপজেলা সিভিল ডিফেন্স ও সিপিপির সদস্য জনসাধারণ কে উপকূলে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার জন্য কাজ করছেন। সারাদিন গুড়িগুড়ি বৃষ্টি দমকা হাওয়া ও সন্ধ্যা নাগাদ প্রচণ্ড শুরু হলে জনসাধারণের মাঝে আতংক দেখা যায়। সাগরে সকল ধরনের নৌযান বন্ধ রয়েছে। জেলেরা উপকুলের কাছাকাছি অবস্থান করে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে গেছে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রামসহ সমুদ্র উপকূলে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা থেকে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বরিশালের দিকে এগোচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৫ কিলোমিটারের ভেতরে বাতাসের একটানা গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রামে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও বলেছে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৫৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এটি অবস্থান করছিল এবং এটি আরও কিছুটা জোরদার হয়ে উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেকারণে চট্টগ্রামসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে
উপজেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘন্টা খোলা রয়েছে এবং একটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা।
সারিকাইত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম পনির বলেন গত ১সপ্তাহ ধরে জনসাধারণ কে সচেতন করতে সিপিপির সদস্যদের নিয়ে কাজ করছি। সন্দ্বীপ পৌরসভার মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম বলেন আমরা সিপিপির টিম কে চারটি জোনে ভাগ করে কাজ করছি।
সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা বলেন সন্দ্বীপ উপজেলায় জনসাধারণ কে সিত্রাং মোকাবেলায় ১২ টি আশ্রয় কেন্দ্র ৪ টি মুজিব কিল্লা ও ৪০ টি স্কুল কলেজ খোলা রয়েছে।শুকনো খাবার সহ নিরাপদ কাবার পানি রয়েছে।