চট্টগ্রাম 6:10 pm, Thursday, 17 July 2025

মিরসরাইয়ে স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর ব্রীজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন, দুঃখ ঘুচবে অর্ধলাখ মানুষের

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর একটি ব্রিজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন হয়েছে। দীর্ঘ সময় পর স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে তিন ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলাখ মানুষের। ব্রীজটি নির্মাণ হলে বদলে যাবে ওই এলাকার দৃশ্যপট।

রবিবার (৯ মার্চ) উপজেলার ১৬ নং সাহেরখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মঘাদিয়া ও ১৩ নং মায়ানী ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের খালের উপর দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে নির্মাণ কাজের সূচনা করা হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম। সাহেরখালী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মাঈন উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বি.এ.ডিসি এর সিনিয়র সহকারি প্রকৌশলী তমাল দাশ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বি.এ.ডিসি মিরসরাই (ক্ষুদ্র সেচ) উপ-সহকারি প্রকৌশলী জাহিদ হাসান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, মায়ানী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক নুর হোসেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য বদরুদৌজা চৌধুরী, বিএনপি নেতা আইয়ুব আলী, জামায়াত ইসলামী নেতা এডভোকেট আমির হোসেন, সাহেরখালী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক নুর উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক শাহদাৎ খান সহ বিএনপি, জামায়াত নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

স্থানীয় অসিম জলদাস জানান, বুদ্ধি বয়সের পর থেকে আমরা দুঃখ দুর্দশায় যাতায়াত করছি এই বাঁশের সাঁকো পার হয়ে। আমরা বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ শিকার করে এই সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করি অনেক কষ্টে। বিকল্প পথে যেতে হলে অনেক সময় মাছ নষ্ট হয়ে যায়। এখানকার জেলেদের এক মাত্র চলাচলের সড়ক এটি। এছাড়া জেলেদের একমাত্র আয়ের উৎসও মাছ শিকার। তাই এই সাঁকো আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি এই খালের উপর একটি ব্রীজ নির্মানের। অবশেষে বর্তমান সরকার গ্রীজ নিমাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। এবার চাই এই কাজের বাস্তবায়ন।

ওই এলাকার কৃষক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, আমার বুদ্ধির পর থেকে খালে একটি ব্রীজ হবে শুনে আসছি। ৫ বছর পর পর নির্বাচন আসলে জনপ্রতিনিধিরা ব্রীজ নির্মাণের ওয়াদা দিয়ে আসতেন। কিন্তু নির্বাচনী বৈতরণী পার হলে আর খবর নিতেন না। ব্রীজটি নির্মাণ আমাদের জন্য অনেক আনন্দের। আশা করবো দ্রুত নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন হবে।

উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তিন ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এই বাশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতো। ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে এই সেতুর কোন কাজ হয়নি। পাঁচ আগস্টের পরে দেশের অনেক পরিবর্তন এসেছে। অবহেলিত কাজগুলো বিএনপি হাতে নিয়েছেন। শীঘ্রই বাসের সাঁকোটি সেতুতে রূপান্তরিত হবে।

বি.এ.ডিসি এর সিনিয়র সহকারি প্রকৌশলী তমাল দাশ জানান, ৩৩ মিটার দৈর্ঘ্যর ব্রীজটি নির্মাণে প্রথম ধাপে বাজেট হয়েছে ৮০ লাখ টাকা। ব্রীজটি নির্মাণ কাজের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ মাস। কোন ধরনের দুর্যোগ না হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রীজ নির্মাণ সম্পন্ন হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সন্দ্বীপে নবাগত ইউএনও মংচিংনু মারমাকে অফিসার্স ক্লাবের বরণ

মিরসরাইয়ে স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর ব্রীজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন, দুঃখ ঘুচবে অর্ধলাখ মানুষের

Update Time : 06:43:32 pm, Sunday, 9 March 2025

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর একটি ব্রিজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন হয়েছে। দীর্ঘ সময় পর স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে তিন ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলাখ মানুষের। ব্রীজটি নির্মাণ হলে বদলে যাবে ওই এলাকার দৃশ্যপট।

রবিবার (৯ মার্চ) উপজেলার ১৬ নং সাহেরখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মঘাদিয়া ও ১৩ নং মায়ানী ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের খালের উপর দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে নির্মাণ কাজের সূচনা করা হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম। সাহেরখালী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মাঈন উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বি.এ.ডিসি এর সিনিয়র সহকারি প্রকৌশলী তমাল দাশ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বি.এ.ডিসি মিরসরাই (ক্ষুদ্র সেচ) উপ-সহকারি প্রকৌশলী জাহিদ হাসান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, মায়ানী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক নুর হোসেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য বদরুদৌজা চৌধুরী, বিএনপি নেতা আইয়ুব আলী, জামায়াত ইসলামী নেতা এডভোকেট আমির হোসেন, সাহেরখালী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক নুর উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক শাহদাৎ খান সহ বিএনপি, জামায়াত নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

স্থানীয় অসিম জলদাস জানান, বুদ্ধি বয়সের পর থেকে আমরা দুঃখ দুর্দশায় যাতায়াত করছি এই বাঁশের সাঁকো পার হয়ে। আমরা বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ শিকার করে এই সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করি অনেক কষ্টে। বিকল্প পথে যেতে হলে অনেক সময় মাছ নষ্ট হয়ে যায়। এখানকার জেলেদের এক মাত্র চলাচলের সড়ক এটি। এছাড়া জেলেদের একমাত্র আয়ের উৎসও মাছ শিকার। তাই এই সাঁকো আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি এই খালের উপর একটি ব্রীজ নির্মানের। অবশেষে বর্তমান সরকার গ্রীজ নিমাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। এবার চাই এই কাজের বাস্তবায়ন।

ওই এলাকার কৃষক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, আমার বুদ্ধির পর থেকে খালে একটি ব্রীজ হবে শুনে আসছি। ৫ বছর পর পর নির্বাচন আসলে জনপ্রতিনিধিরা ব্রীজ নির্মাণের ওয়াদা দিয়ে আসতেন। কিন্তু নির্বাচনী বৈতরণী পার হলে আর খবর নিতেন না। ব্রীজটি নির্মাণ আমাদের জন্য অনেক আনন্দের। আশা করবো দ্রুত নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন হবে।

উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তিন ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এই বাশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতো। ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে এই সেতুর কোন কাজ হয়নি। পাঁচ আগস্টের পরে দেশের অনেক পরিবর্তন এসেছে। অবহেলিত কাজগুলো বিএনপি হাতে নিয়েছেন। শীঘ্রই বাসের সাঁকোটি সেতুতে রূপান্তরিত হবে।

বি.এ.ডিসি এর সিনিয়র সহকারি প্রকৌশলী তমাল দাশ জানান, ৩৩ মিটার দৈর্ঘ্যর ব্রীজটি নির্মাণে প্রথম ধাপে বাজেট হয়েছে ৮০ লাখ টাকা। ব্রীজটি নির্মাণ কাজের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ মাস। কোন ধরনের দুর্যোগ না হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রীজ নির্মাণ সম্পন্ন হবে।