চট্টগ্রাম 6:42 am, Wednesday, 2 July 2025

সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে ছয়টি বসত ঘর পুড়ে ছাই

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে ছয়টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর ২টায় উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মান্দারীটোলা গ্রামের আহমদ মোল্লা বাড়ীতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিদ্যুৎতের শর্ট সার্কিট থেকে আহাম্মদ মোল্লার ছেলেদের ঘরে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে চতুর্দিকে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা মান্দারীটোলার মোল্লা বাড়ীতে না এসে অনতিদূরে হাতিলোটা গ্রামের মোল্লা বাড়ী চলে যায়। পরে সেখান থেকে অগ্নিকাণ্ডস্থলে পৌঁছাতে ততক্ষণে বাড়ীর সবগুলো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

তবে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম বলেন, ভুল তথ্যে দেরি হয়েছে কথাটি সঠিক নয়। বরং ফায়ার সার্ভিসের বড় পানির গাড়ীটি একটু সামনে চলে যাওয়ায় ঘটনাস্থলে সেটি নিতে খানিকটা দেরি হয়েছে। অবশ্য ঘটনাস্থলে পৌঁছার পরপরই আমরা দ্রুত আগুন নিভাতে সক্ষম হয়েছি। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিশ্চিত জানা যায়নি।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে আহমদ মোল্লা বাড়ীর আবুল হাশেম, আবুল খায়ের, আবুল ইউসুফ, সিকান্দার আবু জাফর চাম্পা, বোরহান উদ্দিন ও মোশারফ হোসেনের বসতঘর। এদের মধ্যে আবুল খায়েরের ছেলে নয়নের ঘরে গচ্ছিত দেড় লক্ষ টাকা, চাম্পার ষাট হাজার টাকা ও সকলের ঘরের প্রচুর স্বর্ণালংকার এবং আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন নিভাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন যুবদল নেতা ও স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আলিম। তিনি জানান, আগুন লাগার দুই মিনিটের মধ্যে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস সেখানে পৌঁছায় আধা ঘণ্টা পর। অথচ ফায়ার সার্ভিস যথাসময়ে পৌঁছালে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা রোধ করা যেত।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের পরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিএনপির সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়ন আসলাম চৌধুরী এফসিএ। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে ছয়টি বসত ঘর পুড়ে ছাই

Update Time : 05:55:08 pm, Thursday, 1 May 2025

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে ছয়টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর ২টায় উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মান্দারীটোলা গ্রামের আহমদ মোল্লা বাড়ীতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিদ্যুৎতের শর্ট সার্কিট থেকে আহাম্মদ মোল্লার ছেলেদের ঘরে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে চতুর্দিকে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা মান্দারীটোলার মোল্লা বাড়ীতে না এসে অনতিদূরে হাতিলোটা গ্রামের মোল্লা বাড়ী চলে যায়। পরে সেখান থেকে অগ্নিকাণ্ডস্থলে পৌঁছাতে ততক্ষণে বাড়ীর সবগুলো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

তবে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম বলেন, ভুল তথ্যে দেরি হয়েছে কথাটি সঠিক নয়। বরং ফায়ার সার্ভিসের বড় পানির গাড়ীটি একটু সামনে চলে যাওয়ায় ঘটনাস্থলে সেটি নিতে খানিকটা দেরি হয়েছে। অবশ্য ঘটনাস্থলে পৌঁছার পরপরই আমরা দ্রুত আগুন নিভাতে সক্ষম হয়েছি। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিশ্চিত জানা যায়নি।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে আহমদ মোল্লা বাড়ীর আবুল হাশেম, আবুল খায়ের, আবুল ইউসুফ, সিকান্দার আবু জাফর চাম্পা, বোরহান উদ্দিন ও মোশারফ হোসেনের বসতঘর। এদের মধ্যে আবুল খায়েরের ছেলে নয়নের ঘরে গচ্ছিত দেড় লক্ষ টাকা, চাম্পার ষাট হাজার টাকা ও সকলের ঘরের প্রচুর স্বর্ণালংকার এবং আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন নিভাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন যুবদল নেতা ও স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আলিম। তিনি জানান, আগুন লাগার দুই মিনিটের মধ্যে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস সেখানে পৌঁছায় আধা ঘণ্টা পর। অথচ ফায়ার সার্ভিস যথাসময়ে পৌঁছালে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা রোধ করা যেত।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের পরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিএনপির সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়ন আসলাম চৌধুরী এফসিএ। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।