হাটহাজারী উপজেলার ধলই ইউনিয়ন এলাকার হাদুরখীলস্থ শরীফের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় মো.রহমত উল্যাহ, মো.রাশেদ ও মো.আলমগীর নামের তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে মডেল থানা পুলিশ।
সোমবার (১২ মে) বিকালের দিকে এ প্রতিবেদককে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ তিন ডাকাত কে গ্রেফতার করার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত শনিবার ১০মে ভোর ৪টা থেকে টানা ১৮ ঘন্টাব্যাপি ফটিকছড়ি থানাধীন আজাদী বাজার ও নাজিরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এই সময় তাদের হেফাজত থেকে ২টি হাসুয়া, ২টি চাপাতি, ৫টি ছুরিসহ বিপুল পরিমাণ ঘর ভাঙার ও ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো তারেক আজিজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সোমবার বিকালের দিকে এ প্রতিবেদক কে জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে দুজন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রযেছে বলেও জানান তিনি।
প্রসংগত, গত ১৯ এপ্রিল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে হাটহাজারী উপজেলার ধলই ইউনিয়নে ৬ নং ওয়ার্ডস্থ নাজিমুদ্দিন শরিফের বাড়িতে ঘরের দরজা ভেঙ্গে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এতে বাড়ির মালিক নাজিমুদ্দিন শরিফ (৪৫) গুরুতর আহত হন। ডাকাতদল তাদের স্বামী স্ত্রী দুজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মিকরে আলমারি ভেংগে নগদ ৬৫৫,০০০/-(ছয় লক্ষ পাঁচ পঞ্চাশ হাজার) টাকা, স্বর্ণ অনুমান ০৬ ভরি অনুমান মূল্য ৮৭০,০০০/-(আট লক্ষ শত্তর হাজার), ০১ টি কালো রংয়ের ল্যাপটপ যার অনুমানিক মুল্য ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) টাকা, ০৩ টি এ্যানড্রোয়েট মোবাইল ফোন ৬০,০০০/-(ষাট হাজার)টাকাসহ সর্বমোট -১,৬৩৫,০০০/- (ষোল লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার) টাকার নিয়ে যায়।
পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ভিকটিম নাজিমুদ্দিন শরিফকে উদ্ধার করে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে রেফার করেন। পরে ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।