চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার মগধরা ইউনিয়নের নোয়াহাট এলাকায় শিপন (৪০) নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে, ১৫ নম্বর মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের ৭/৯ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী সড়কে, আবদুল মালেক মাস্টারের বাড়ির সামনে।
নিহত শিপন মগধরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তহসিলদার বাড়ির বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে শিপন নোয়াহাট থেকে শিবের হাট যাচ্ছিলেন। পথে মাইটভাঙ্গা সীমান্তবর্তী সড়কে এক বা একাধিক দুর্বৃত্ত প্রকাশ্যে রাস্তায় তাকে ছুরি দিয়ে কনুই থেকে দুই হাত বিচ্ছিন্ন করে, পরে ঘাড়ে এবং মাথায় এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অপু চক্রবর্তী বলেন, “মৃতদেহের ডান হাত সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন, বাম হাত আংশিক বিচ্ছিন্ন। মাথা ও মুখমণ্ডলে রয়েছে গভীর ক্ষতচিহ্ন। ঘটনাটি অত্যন্ত ভয়াবহ ও পৈশাচিক।
খবর পেয়ে সন্দ্বীপ থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে এবং আলামত সংগ্রহ করে।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী জানান, “ঘটনার কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ভয়াবহ এ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে পুরো নোয়াহাট এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সম্ভাব্য অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শিপন পেছনে রেখে গেছেন স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে। এখনও পর্যন্ত তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তবে স্থানীয়দের ধারণা, পূর্ব শত্রুতার জেরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।
ইলিয়াছ সুমন, সন্দ্বীপ থেকে 



















