চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে দিদারুল আলম দিদার (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে মিরসরাই থানা পুলিশ।
শনিবার (৭ জুন) বিকেলে উপজেলার মিরসরাই সদর ইউনিয়নের মোটবাড়িয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ মে শারীরিক নির্যাতনের পর দিদারুল আলমের স্ত্রী সাহেলা আক্তার (৩০) মৃত্যুবরণ করেন। ঘটনার পর নিহতের ভাই শাহ মোহাম্মদ মোজাম্মেল বাদী হয়ে মিরসরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে অভিযুক্ত স্বামী দিদার আত্মগোপনে চলে যায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মিরসরাই থানা পুলিশ শনিবার বিকেলে মোটবাড়িয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে
মিরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইব্রাহিম জানান, “গ্রেফতারকৃত দিদারুল আলম ঈদ উদযাপনের জন্য শুক্রবার রাতে গোপনে বাড়িতে ফেরেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
নিহত সাহেলা আক্তারের ভাই ও মামলার বাদী শাহ মোহাম্মদ মোজাম্মেল বলেন, “আমার বোনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দিদার। আমি তার ফাঁসি চাই।” মো. মোজ্জামেল আরো বলেন, প্রায় ২১ বছর আগে আমার বোন সাহেলা আক্তারের সঙ্গে মিরসরাই সদর ইউনিয়নের মোটবাড়িয়া গ্রামের সামসুল আলমের ছেলে দিদারুল আলমের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে দিদার আমার বোনকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। একাধিকবার সামাজিকভাবে বৈঠক করা হয়।
কিন্তু নির্যাতনে মাত্রা কমেনি, বরং আরও বেড়েছে। তিনি জানান, সর্বশেষ গত ৬ মে আমার বোনকে শারীরিক নির্যাতন করে। খবর পেয়ে আমরা উদ্ধার করে মিরসরাই সদরের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করি। চিকিৎসক তার মাথার নার্ভ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসি। পরের দিন একই স্থানে আবার আঘাত করে দিদার।
এ সময় আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার বোনের মৃত্যু হয়। আমি দিদারুল আলমকে আসামি করে মিরসরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছি।