চট্টগ্রাম 4:58 pm, Wednesday, 2 July 2025

সীতাকুণ্ডে বন কেটে গড়ে ওঠা কোহিনূর শিপইয়ার্ডে আবারও উচ্ছেদ অভিযান

সীতাকুণ্ডে বন কেটে গড়ে ওঠা বিতর্কিত সেই কোহিনূর শিপইয়ার্ডটিতে আবারও উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

বুধবার (২ জুলাই) সকাল থেকে দ্বিতীয় দফায় এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। গত ২৫ জুন প্রথম দফায় উচ্ছেদ করে শিপইয়ার্ডটির স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। শিপইয়ার্ড এলাকায় গড়ে ওঠা আরও কিছু স্থাপনা এবং ভবনের অবশিষ্টাংশে আজ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হয়েছে।

উচ্ছেদের পাশাপাশি সলিমপুর এলাকার তুলাতলী মৌজার জায়গাটিতে আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে বৃক্ষরোপণ শুরু করেছে বন বিভাগ। এ জন্য বিভিন্ন প্রজাতির দুই হাজার গাছ নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওই জায়গায়। প্রথম দফায় সেখানে দুই হাজার বিভিন্ন গাছের চারারোপণ করা হয়। সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন।

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেন, বন বিভাগের উদ্যোগে জায়গাটির মধ্যে আমরা বৃক্ষরোপণ শুরু করেছি। এছাড়া শিপইয়ার্ডের অবশিষ্ট অংশটিতে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপকূলীয় বন বিভাগ চট্টগ্রামের সহকারী বন সংরক্ষক শেখ আবুল কালাম আজাদ, রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুজ্জামান।

রেঞ্জ কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান বলেন, আমরা ঝাউ, করঞ্জা ও হিজল এই তিন প্রজাতির দুই হাজার গাছের চারা নতুন করে এখানে লাগানো হয়। এর আগে এখানে প্রায় পাঁচ হাজার গাছ ধ্বংস করেন শিপইয়ার্ডের লোকজন।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনই বনের জায়গাটিতে শিপ ইয়ার্ড স্থাপনের জন্য দুবার ইজারার অনুমতি দিয়েছিল। আপত্তির পর আবার ইজারা বাতিল করা হয়। কোহিনূর স্টিল নামে এই কারখানা স্থাপন করেছিলেন আবুল কাসেম নামের এক ব্যক্তি। তিনি ‘রাজা কাসেম’ নামে পরিচিত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সীতাকুণ্ডে বন কেটে গড়ে ওঠা কোহিনূর শিপইয়ার্ডে আবারও উচ্ছেদ অভিযান

সীতাকুণ্ডে বন কেটে গড়ে ওঠা কোহিনূর শিপইয়ার্ডে আবারও উচ্ছেদ অভিযান

Update Time : 04:57:39 pm, Wednesday, 2 July 2025

সীতাকুণ্ডে বন কেটে গড়ে ওঠা বিতর্কিত সেই কোহিনূর শিপইয়ার্ডটিতে আবারও উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

বুধবার (২ জুলাই) সকাল থেকে দ্বিতীয় দফায় এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। গত ২৫ জুন প্রথম দফায় উচ্ছেদ করে শিপইয়ার্ডটির স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। শিপইয়ার্ড এলাকায় গড়ে ওঠা আরও কিছু স্থাপনা এবং ভবনের অবশিষ্টাংশে আজ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হয়েছে।

উচ্ছেদের পাশাপাশি সলিমপুর এলাকার তুলাতলী মৌজার জায়গাটিতে আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে বৃক্ষরোপণ শুরু করেছে বন বিভাগ। এ জন্য বিভিন্ন প্রজাতির দুই হাজার গাছ নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওই জায়গায়। প্রথম দফায় সেখানে দুই হাজার বিভিন্ন গাছের চারারোপণ করা হয়। সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন।

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেন, বন বিভাগের উদ্যোগে জায়গাটির মধ্যে আমরা বৃক্ষরোপণ শুরু করেছি। এছাড়া শিপইয়ার্ডের অবশিষ্ট অংশটিতে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপকূলীয় বন বিভাগ চট্টগ্রামের সহকারী বন সংরক্ষক শেখ আবুল কালাম আজাদ, রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুজ্জামান।

রেঞ্জ কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান বলেন, আমরা ঝাউ, করঞ্জা ও হিজল এই তিন প্রজাতির দুই হাজার গাছের চারা নতুন করে এখানে লাগানো হয়। এর আগে এখানে প্রায় পাঁচ হাজার গাছ ধ্বংস করেন শিপইয়ার্ডের লোকজন।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনই বনের জায়গাটিতে শিপ ইয়ার্ড স্থাপনের জন্য দুবার ইজারার অনুমতি দিয়েছিল। আপত্তির পর আবার ইজারা বাতিল করা হয়। কোহিনূর স্টিল নামে এই কারখানা স্থাপন করেছিলেন আবুল কাসেম নামের এক ব্যক্তি। তিনি ‘রাজা কাসেম’ নামে পরিচিত।