রাঙ্গুনিয়ায় যুবলীগ এক নেতার ফেজবুকে ভাইরাল হওয়া অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি উঠেছে। সম্প্রতি এই যুবলীগ নেতাকে চট্টগ্রাম র্যাব-৭ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু তার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় কদমতলী এলাকার সংখ্যালঘু পরিবার সহ একাধিক পরিবার শঙ্কিত অবস্থায় দিনাতিপাত করছে বলে জানা গেছে।
ভূক্তভোগিদের সূত্রে জানা যায়, ধৃত সন্ত্রাসী আইয়ুব সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় সাতটি মামলা রয়েছে। এছাড়াও ছাত্র হত্যা, গুলিবর্ষণ, অস্ত্র নিয়ে মহড়া, ভূমি দখল, সংখ্যালঘু নির্যাতন, অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা, চাঁদাবাজিসহ বহু অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
কারাগারে থাকা রাঙ্গুনিয়ার যুবলীগ নেতা মো. আইয়ুবকে রিমান্ডে এনে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলি ইউনিয়নের লিচুবাগানে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াস সিকদার এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি দাবী করেন, জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনে আইয়ুব সরাসরি গুলি চালায়। যার ফলে একজন ছাত্র নিহত হয়। কিন্তু এত বড় অপরাধ করার পরও দীর্ঘ সময় ধরে সে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ছিল। ২০১৭ সালের ২৮ জুন রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় আইয়ুব সরাসরি অংশ নেয়। এরপর ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা নির্বাচনে আইয়ুবসহ আওয়ামী সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হন তৎকালীন পৌর ছাত্রদল সভাপতি ফারুক, কাউন্সিলর প্রার্থী এহসান এবং তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা।