৫ই আগস্টের পর সীতাকুণ্ড উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ পরিষদে না আসায় জনগণকে সেবা থেকে বঞ্চিত করে চরম ভোগান্তিতে ফেলার প্রতিবাদে এবং সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে জনগণের সেবা নিশ্চিত এবং এ অবৈধ চেয়ারম্যানদেরকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবীতে মানববন্ধন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে স্মারকলিপি দিয়েছে জনসাধারণ।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজারো মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে ৭ ইউনিয়নের জনগণের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলামকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সীতাকুণ্ড উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ পালিয়ে থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে প্রদান করা হয়। উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করেন। সীতাকুণ্ড উপজেলার ৯ ইউনিয়ন হলেও তার মধ্যে ৯নং ভাটিয়ারী এবং ২নং বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ রিট পিটিশন করা থেকে বিরত থাকেন। ৭ ইউপি চেয়ারম্যানের রিট পিটিশন দায়ের পর হাইকোর্ট বিভাগ ৭ ইউনিয়ন পরিষদের আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রদান সংক্রান্ত আদেশের কার্যকারিতা পরবর্তী ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন আদালত। এদিকে এ নির্দেশের পরও কোন চেয়ারম্যান পরিষদে যোগদান করেননি।
এমতাবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদগুলো সম্পূর্ণ অকার্যকর হয়ে পড়ে। জনগণের সব ধরনের সেবা বন্ধ হয়ে যায়। জনসাধারণকে চরম ভোগান্তিতে ফেলার প্রতিবাদে এবং সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে জনগণের সেবা নিশ্চিত এবং এ অবৈধ চেয়ারম্যানদেরকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবীতে আমাদের এ মানববন্ধন।
এ সময় জনসাধারণের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ মোরসালিন, জয়নাল আবেদীন দুলাল, জহরুল আলম জহুর, কাজী মহিউদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন মোঃ জাহাঙ্গীর চৌধুরী, নুরুল আনোয়ার, কাজী এনামুল বারী, এডভোকেট আইনুল কামাল, মোঃ আকবর হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন, সালামাত উল্লাহ, ইদ্রিস মেম্বার, ইদ্রিস মিয়া, রবিউল হকসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।