চট্টগ্রাম 3:14 am, Saturday, 25 October 2025

রাঙ্গুনিয়ায় কর্ণফুলীর ভাঙনের কবল থেকে রক্ষায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্পটে কর্ণফুলী নদীর তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে৷ ইউনিয়নের ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভূক্ত দেওয়ানজীর হাট, জেলাপাড়া, ফকির পাড়া ও খোন্দকার পাড়ায় কর্ণফুলী নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে সহস্রাধিক লোকের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। এছাড়া পাঁচশত বছরের পুরানো অলিশাহ ফকিরের মাজার, ফকির পাড়ার কবরস্থান, খোন্দকার পাড়া জামে মসজিদ ও জেলে পাড়ার শশ্মান ধীরে ধীরে নদীর বুকে তলিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে চন্দ্রঘোনা আদর্শ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজী ছমিউদ্দিন শাহ মাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

শুক্রবার সকালে ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে মানববন্ধন করেছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। দেওয়ানজী হাট এলাকায় আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাজী ইলিয়াস সিকদার। বক্তব্য দেন রাঙ্গুনিয়া কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. পারভেজ, উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাজিম উদ্দীন, আহবায়ক কমিটির সদস্য মোজাম্মেল হক মানিক, মো. ফিরোজ, ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. শওকত, আবদুস সালাম, রেজাউল করিম, আবদুল সবুর, আব্দুল মান্নান, জহির আহম্মদ, মো. রিদুয়ান, মো. ইকবাল, পরিমল দাশ, সন্তোষ দাশ, উজ্জ্বল দাশ, লিটন দাশ প্রমুখ।

তারা জানান, চন্দ্রঘোনার দেওয়ানজী হাট থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত পুরো অংশে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। কর্ণফুলী নদী থেকে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলনের কারনে নদী ভাঙ্গন আরও তীব্রতর হয়েছে। নদীপাড়ের বাসিন্দাদের অধিকাংশই নিম্ন আয়ের মানুষ। তারা ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন জায়গায় আবেদন জানিয়েছে। তাদের দাবী অতিস্বত্ত্বর যেনো ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা ব্লক স্থাপন করা হয় এবং বেপরোয়া বালি উত্তোলন বন্ধ করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু

রাঙ্গুনিয়ায় কর্ণফুলীর ভাঙনের কবল থেকে রক্ষায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন

Update Time : 06:49:31 pm, Friday, 1 August 2025

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্পটে কর্ণফুলী নদীর তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে৷ ইউনিয়নের ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভূক্ত দেওয়ানজীর হাট, জেলাপাড়া, ফকির পাড়া ও খোন্দকার পাড়ায় কর্ণফুলী নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে সহস্রাধিক লোকের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। এছাড়া পাঁচশত বছরের পুরানো অলিশাহ ফকিরের মাজার, ফকির পাড়ার কবরস্থান, খোন্দকার পাড়া জামে মসজিদ ও জেলে পাড়ার শশ্মান ধীরে ধীরে নদীর বুকে তলিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে চন্দ্রঘোনা আদর্শ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজী ছমিউদ্দিন শাহ মাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

শুক্রবার সকালে ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে মানববন্ধন করেছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। দেওয়ানজী হাট এলাকায় আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাজী ইলিয়াস সিকদার। বক্তব্য দেন রাঙ্গুনিয়া কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. পারভেজ, উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাজিম উদ্দীন, আহবায়ক কমিটির সদস্য মোজাম্মেল হক মানিক, মো. ফিরোজ, ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. শওকত, আবদুস সালাম, রেজাউল করিম, আবদুল সবুর, আব্দুল মান্নান, জহির আহম্মদ, মো. রিদুয়ান, মো. ইকবাল, পরিমল দাশ, সন্তোষ দাশ, উজ্জ্বল দাশ, লিটন দাশ প্রমুখ।

তারা জানান, চন্দ্রঘোনার দেওয়ানজী হাট থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত পুরো অংশে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। কর্ণফুলী নদী থেকে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলনের কারনে নদী ভাঙ্গন আরও তীব্রতর হয়েছে। নদীপাড়ের বাসিন্দাদের অধিকাংশই নিম্ন আয়ের মানুষ। তারা ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন জায়গায় আবেদন জানিয়েছে। তাদের দাবী অতিস্বত্ত্বর যেনো ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা ব্লক স্থাপন করা হয় এবং বেপরোয়া বালি উত্তোলন বন্ধ করা হয়।