সারাদেশে যখন বাচ্চা প্রসব করাতে চলছে অস্ত্রোপচারের (সিজার) প্রতিযোগীতা ঠিক এই সময়টিতে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ত্রোপচার ছাড়াই স্বাভাবিক প্রসবের (নরমাল ডেলিভারী) মাধ্যমে ৫ জন নবজাতক জন্ম গ্রহণ করেছে।
গত সোমবার ২৫ আগস্ট সকাল ৮ হতে মঙ্গলবার ২৬ আগস্ট সকাল ৮টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারীতে এই পাঁচ নবজাতকের জন্ম হয়। এদের মধ্যে তিন জন ছেলে ও দুই জন কন্যাসন্তান রয়েছে। প্রত্যেক নবজাতক ও তার মা বর্তমানে সুস্থ ও স্বাভাবিক আছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলতাপ হোসেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে মোট ৫ জন প্রসূতি মা ভর্তি হন। তার মধ্যে সকল প্রসূতি নরমাল ডেলিভারীতে নবজাতক প্রসব করেন।
জন্মগ্রহণ করা নবজাতকের মায়েরা হলেন, উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মুরাদপুর এলাকার শাকিল আহম্মদের স্ত্রী মিনা আক্তার, একই ইউনিয়নের ভাটেরখীল গ্রামের নুরুল করিমের স্ত্রী রুমি আক্তার, পৌরসভার দক্ষিণ মহাদেবপুর এলাকার গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী রুমা আক্তার, কুমিরা ইউনিয়নের আয়েশা আক্তার ও বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের শুকলালহাট এলাকার আজিজুর রহমানের স্ত্রী আসমা আক্তার।
প্রসূতি রুমি আক্তার বলেন, আমি খুবই খুশি নরমাল ডেলিভারী সেবা পেয়ে। আসলে দুশ্চিন্তায় ছিলাম যদি সিজারিয়ান অপারেশন করতে হয় কিনা। তাছাড়া আমার স্বামীর অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক। এখন আমি ও আমার বাচ্চা সম্পূর্ণ সুস্থ আছি।
অপর প্রসূতি রুমা আক্তার বলেন, সরকারী হাসপাতালে এতো সহজে নরমাল ডেলিভারী সেবা পাব ভাবিনি। আমরা সুস্থ আছি।
এবিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলতাপ হোসেন বলেন, সরকারের এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুর হার কমানোর যে লক্ষ্যমাত্রা তারই ধারাবাহিকতায় কাজ করে যাচ্ছে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এর অংশ হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচটি নরমাল ডেলিভারী সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। পাঁচ প্রসূতি ও নবজাতকরা সবাই সুস্থ আছেন। তারা দু-একদিনের মধ্যেই বাড়ী ফিরবেন। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশা করি।