সীতাকুণ্ড দলিল লেখক সমিতির সুষ্ঠু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করলেন খোদ নির্বাচন কমিশনারগণ। বৃহস্পতিবার ২৮ (আগস্ট) বেলা ১১ টা থেকে উপজেলা অভ্যন্তরে দলিল লেখকদের কার্যালয়ে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর তিনটা পর্যন্ত চলবে এ ভোটগ্রহণ। শুরুর পর থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন চলছিল।
দুপুর ১টা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, নির্বাচন কমিশনার বাবুল মুন্সী বগল দাবা করে ভোটবাক্স নিয়ে যাচ্ছেন। সাথে ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাব-রেজিস্ট্রার রায়হান হাবিব ও অফিস সহকারী সিরাজ উদ্দীন। এই দৃশ্য দেখে উপজেলা প্রাঙ্গণে উপস্থিত প্রার্থীগণ হতভম্ভ হয়ে যান। এভাবে ভোট বাক্স নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন চলাকালীন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেন কিনা এ নিয়ে গুঞ্জন উঠে। এক পর্যায়ে কয়েকজন প্রার্থী সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে জানতে চাইলে তিনি ভোট বাক্স তার কক্ষে নিরাপদে আছে বলে আশ্বস্ত করেন প্রার্থীদের।
এ বিষয়ে ভোট বাক্স বগল দাবা করে নিয়ে যাওয়া নির্বাচন কমিশনার বাবুল মুন্সিকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ভোট বাক্স এভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া আইন বহির্ভূত কিনা জানিনা তবে সাব রেজিস্ট্রারের নির্দেশে এটি করা হয়েছে।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভোট গ্রহণ চলাকালে ভোট বাক্স কখনো একা রাখা যাবে না। সেটা নির্বাচন কমিশনার হোন বা অন্য কেউ। ভোটবাক্স সর্বদা প্রার্থীদের এজেন্ট বা পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে সুরক্ষিত রাখতে হয়।
খাবারের সময় বা অন্য কারণে ভোটগ্রহণ সাময়িক স্থগিত রাখা হলে ভোটবাক্স প্রার্থীদের এজেন্টদের উপস্থিতিতে সিলগালা করা থাকবে।বাক্স সরানো বা অন্য কোথাও রাখা হলে প্রার্থী/এজেন্টদের সামনে রাখতে হবে।কমিশনার এককভাবে “নিজ দায়িত্বে” বাক্স নিয়ে গেলে স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
যদি কমিশনার এককভাবে বাক্স সরান, পরে কোনো প্রার্থী ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ করে মামলা বা অভিযোগ করলে সেটি বৈধ অভিযোগ হিসেবে গণ্য হতে পারে।নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণারও ঝুঁকি থাকে।