চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৯ নং সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১ অক্টোবর) সকালে সুফিয়া রোড বটতল প্রাঙ্গনে এ মতবিনিময় সভা হয়।
৯নং মিরসরাই সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ ইমাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহর সঞ্চালনায় আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মিরসরাই জনপদের আপামর জনসাধারণ আমাকে ক্লীন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, এটা আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। আমার সাথে যারা রাজনীতি করেন তারা ক্লীন বলেই আমি ক্লীন থাকতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতির মাঠে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবে। নির্বাচনকে ঘিরে নমিনেশন অনেকেই চাইবেন। তবে আমি মনে করি আমি দলীয় মনোনয়নের যোগ্য দাবিদার। দল যোগ্য লোকের হাতেই নমিনেশন তুলে দিবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমাদের কর্তব্য রাজপথ থেকে শুরু করে কুঁড়েঘরে পর্যন্ত ধানের শীষের প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাওয়া।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মহিবুর রহমান মাফু, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আজমল হোসেন আজম, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ দুলাল, উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক এসএম হারুন, যুবদল নেতা আমজাদ বাবু।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মিরসরাই পৌর বিএনপির সদস্য এইচ এম শাহরিয়ার, তরুণ দল নেতা মাহমুদুল হক রকি, বাদশাসহ ৯ নং সদর ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মী, প্রমুখ।
এদিকে ওই মতবিনিময় সভায় জামায়াতে ইসলামীর দুই নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। তারা হলেন ৯ নং মিরসরাই সদর ওয়ার্ড জাময়াতের সভাপতি ওহিদুল ইসলাম ও বাইতুল মাল সম্পাদক মোশাররফ হোসেন। এসময় তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
মিরসরাই উপজেলা জামায়াত ইসলামি অফিস সেক্রেটারি
অধ্যাপক শফিকুল আলম সিকদার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, *ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে গেছে*
” মিরসরাইয়ে বিএনপিতে যোগ দিলো জামায়াতের দুই নেতা” শীর্ষক একটি খবর আমাদের নজরে এসেছে।
মূলত অহিদুল ইসলাম এবং মোশারফ হোসেন ৫ ই আগস্ট এর আগে বিএনপি’র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। বিএনপির রাজনীতি করার কারণে বিভিন্ন সময়ে ওরা মামলাও খেয়েছে। ৫ আগস্ট এর পরে তারা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কর্মকান্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে জামায়াতে ইসলামীর প্রাথমিক সদস্য ফরম পূরণ করে সাধারণ সদস্য হিসেবে কাজ শুরু করে। কিছুদিন পরেই লক্ষ্য করছি যে তাদের কর্মকাণ্ড জামায়াত ইসলামীর আদর্শের সাথে যায় না। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে সাংগঠনিক আদর্শের কথা জানিয়ে দেওয়া হলেও তারা বিভিন্নভাবে সংগঠনের আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার চেষ্টা করে।
তারা কোন ওয়ার্ড সভাপতি বা বায়তুলমাল সম্পাদক নন। বরং একটি দাওয়াতী ইউনিটে প্রাথমিক সদস্য হিসেবে ছিলেন। ৯ নাম্বার ওয়ার্ড বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির সভাপতির নাম শাফায়াত উল্লাহ। সেক্রেটারি হলেন মোঃ সোহেল।
আপনারা অবগত আছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে নেতা বলে কোন শব্দ নেই বরং দায়িত্বশীল হিসেবে পরিচিতি থাকে। কথিত দুই নেতা বিএনপি থেকেই এসেছিল আবার বিএনপিতে চলে গেছে। এতে তারা খুশি হতেই পারে।