ওমানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের সাত যুবকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় তাঁদের মরদেহ। সেখান থেকে রাতেই কুমিরা ঘাট হয়ে রবিবার সকালে স্পিডবোটযোগে মরদেহগুলো সন্দ্বীপে পৌঁছে যায়।
একসঙ্গে সাতটি কফিন, স্তব্ধ গোটা এলাকা: রবিবার সকাল ৯টায় পূর্ব সন্দ্বীপ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরদেহগুলো একসঙ্গে রাখা হলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজন ও এলাকাবাসী। প্রিয়জনদের শেষবার দেখতে জড়ো হন শত শত মানুষ।
পরে নিহতদের নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয় এবং জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
দাফনের আগে নিহতদের পরিবারের হাতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রাথমিক সহায়তা হিসেবে ৩৫ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
জানাজা ও দাফনের সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সন্দ্বীপের সাবেক এমপি মোস্তফা কামাল পাশা, জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমির আলাউদ্দিন শিকদার, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবু তাহের, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, নুরুল মোস্তফা খোকন, জামায়াত নেতা মাওলানা আবু তাহেরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বক্তারা বলেন, “পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে প্রবাসে পাড়ি দিয়েছিলেন এই তরুণরা। আজ তাঁদের লাশ ফিরল। সরকারের উচিত, শুধু এককালীন সহায়তা নয়, নিহতদের পরিবারকে স্থায়ীভাবে সহযোগিতা করা।”
নিহতরা হলেন—আমিন মাঝি (৫০), মো. সাহাবুদ্দিন (২৮), মো. বাবলু (২৮), মো. রকি (২৭), মো. আরজু (২৬), মো. জুয়েল (২৮) ও মোশারফ হোসেন রনি (২৬)। তাঁরা সবাই ওমানের ধুকুম প্রদেশে সমুদ্রপথে মাছ ধরার কাজ করতেন।
নিহতদের স্বজনরা জানান, গত ৮ অক্টোবর সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ধুকুম প্রদেশের সিদরা এলাকায় তাঁদের বহনকারী গাড়ির সঙ্গে অপর একটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই সাতজনের মৃত্যু হয়।