চট্টগ্রাম 9:17 pm, Thursday, 6 November 2025

বর্জ্য পুনর্ব্যবহার এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে ‘স্মার্ট প্রজেক্ট’ বাস্তববায়ন করবে ইপসা

স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের লক্ষ্যে ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন (ইপসা), পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর সহযোগিতায় এবং বিশ্ব ব্যাংক-এর আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়িত “Sustainable Microenterprise and Resilient Transformation (SMART)” প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে বাস্তবায়িত সাব-সেক্টর “Promoting Sustainable Growth in the Plastic Recycling Sub-Sector through RECP Practices” প্রকল্পের পরিচিতি বিষয়ক সভা আজ ৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার ইপসার প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইপসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ড. মোঃ আরিফুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব পলাশ কুমার চৌধুরী, পরিচালক (ফাইন্যান্স), ইপসা; মোঃ মনজুর মোর্শেদ চৌধুরী, পরিচালক (অর্থনৈতিক উন্নয়ন), ইপসা; এবং জনাবা শামসুন্নাহার চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা, ইপসা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইপসার সহকারী পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজার, প্রকল্প ব্যবস্থাপক এবং বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনাব মোঃ আব্দুস সবুর, সহকারী পরিচালক, ইপসা। সভায় প্রকল্পের সার্বিক পরিচিতি উপস্থাপন করেন জনাব মোঃ দেলোয়ার হোসেন, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, স্মার্ট প্রকল্প, ইপসা।

প্রকল্পের পরিবেশ ও RECP বিষয়ক উপস্থাপনা দেন জনাব মহিউদ্দিন, এনভায়রনমেন্ট এন্ড আরইসিপি অফিসার; প্রযুক্তিগত দিক উপস্থাপন করেন জনাব শহিদুল ইসলাম মুন্না, ট্যাকনিক্যাল অফিসার (মেশিন এন্ড ইকুইপমেন্ট); এবং MIS ও ডকুমেন্টেশন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন  নাজমুন নাহার, এমআইএস এন্ড ডকুমেন্টেশন অফিসার , স্মার্ট প্রকল্প, ইপসা।

স্মার্ট প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উৎপাদন ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে স্থায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করা। প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার, সম্পদের দক্ষ ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য পুনর্ব্যবহার এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের মাধ্যমে নিজেদের ব্যবসাকে আরও টেকসই করে তুলতে পারবেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে বাস্তবায়িত সাব-সেক্টরটি বিশেষভাবে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং শিল্পে কর্মরত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য পরিকল্পিত। এর মাধ্যমে তারা শক্তি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি, পানি পুনঃব্যবহার, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং পরিবেশসম্মত উৎপাদন ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সহায়তা পাবেন। এতে একদিকে উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পাবে, অন্যদিকে পরিবেশ দূষণও কমবে। প্রধান অতিথি ড. মোঃ আরিফুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ইপসা বরাবরই স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে আসছে। এই প্রকল্পটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। তারা এখন থেকে আরও বৈজ্ঞানিকভাবে উৎপাদন পরিকল্পনা করতে পারবে এবং বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে।

” তিনি আরও বলেন,“বাংলাদেশের প্লাস্টিক শিল্পে রিসাইক্লিং খাত একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। তবে এর সুষ্ঠু বিকাশের জন্য প্রয়োজন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ব্যবস্থা এবং উদ্যোক্তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। স্মার্ট  প্রকল্প এই পরিবর্তনের অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করবে।” অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা প্রকল্পের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন কৌশল এবং প্রত্যাশিত ফলাফল নিয়ে আলোচনা করেন।

সভা শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও সকলের সক্রিয় সহযোগিতার অঙ্গীকারের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সন্দ্বীপে ধানের শীষের পক্ষে বিশাল মিছিল ও প্রচারাভিযান

বর্জ্য পুনর্ব্যবহার এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে ‘স্মার্ট প্রজেক্ট’ বাস্তববায়ন করবে ইপসা

Update Time : 07:02:15 pm, Thursday, 6 November 2025

স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের লক্ষ্যে ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন (ইপসা), পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর সহযোগিতায় এবং বিশ্ব ব্যাংক-এর আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়িত “Sustainable Microenterprise and Resilient Transformation (SMART)” প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে বাস্তবায়িত সাব-সেক্টর “Promoting Sustainable Growth in the Plastic Recycling Sub-Sector through RECP Practices” প্রকল্পের পরিচিতি বিষয়ক সভা আজ ৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার ইপসার প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইপসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ড. মোঃ আরিফুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব পলাশ কুমার চৌধুরী, পরিচালক (ফাইন্যান্স), ইপসা; মোঃ মনজুর মোর্শেদ চৌধুরী, পরিচালক (অর্থনৈতিক উন্নয়ন), ইপসা; এবং জনাবা শামসুন্নাহার চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা, ইপসা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইপসার সহকারী পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজার, প্রকল্প ব্যবস্থাপক এবং বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনাব মোঃ আব্দুস সবুর, সহকারী পরিচালক, ইপসা। সভায় প্রকল্পের সার্বিক পরিচিতি উপস্থাপন করেন জনাব মোঃ দেলোয়ার হোসেন, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, স্মার্ট প্রকল্প, ইপসা।

প্রকল্পের পরিবেশ ও RECP বিষয়ক উপস্থাপনা দেন জনাব মহিউদ্দিন, এনভায়রনমেন্ট এন্ড আরইসিপি অফিসার; প্রযুক্তিগত দিক উপস্থাপন করেন জনাব শহিদুল ইসলাম মুন্না, ট্যাকনিক্যাল অফিসার (মেশিন এন্ড ইকুইপমেন্ট); এবং MIS ও ডকুমেন্টেশন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন  নাজমুন নাহার, এমআইএস এন্ড ডকুমেন্টেশন অফিসার , স্মার্ট প্রকল্প, ইপসা।

স্মার্ট প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উৎপাদন ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে স্থায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করা। প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার, সম্পদের দক্ষ ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য পুনর্ব্যবহার এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের মাধ্যমে নিজেদের ব্যবসাকে আরও টেকসই করে তুলতে পারবেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে বাস্তবায়িত সাব-সেক্টরটি বিশেষভাবে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং শিল্পে কর্মরত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য পরিকল্পিত। এর মাধ্যমে তারা শক্তি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি, পানি পুনঃব্যবহার, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং পরিবেশসম্মত উৎপাদন ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সহায়তা পাবেন। এতে একদিকে উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পাবে, অন্যদিকে পরিবেশ দূষণও কমবে। প্রধান অতিথি ড. মোঃ আরিফুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ইপসা বরাবরই স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে আসছে। এই প্রকল্পটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। তারা এখন থেকে আরও বৈজ্ঞানিকভাবে উৎপাদন পরিকল্পনা করতে পারবে এবং বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে।

” তিনি আরও বলেন,“বাংলাদেশের প্লাস্টিক শিল্পে রিসাইক্লিং খাত একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। তবে এর সুষ্ঠু বিকাশের জন্য প্রয়োজন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ব্যবস্থা এবং উদ্যোক্তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। স্মার্ট  প্রকল্প এই পরিবর্তনের অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করবে।” অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা প্রকল্পের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন কৌশল এবং প্রত্যাশিত ফলাফল নিয়ে আলোচনা করেন।

সভা শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও সকলের সক্রিয় সহযোগিতার অঙ্গীকারের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।