চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৫ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ২০ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে অন্ততঃ দশ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৬ টায় উপজেলার বটতল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত পাঁচ জনের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। একজন হলেন- ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার কামাল, অন্যজন কুমিল্লা জেলার শাহ আলম। তিনি চট্টগ্রামের ইয়াং ওয়ান কারখানায় চাকরী করতেন।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। এদের মধ্যে চন্দনাইশ থানার ইব্রাহীম, মিরসরাই থানার মিঠাছড়া এলাকার রিঙ্কু, অর্ণব, ফেনী জেলার জাহাঙ্গীর, সীতাকুণ্ড থানার কুমিরা এলাকার নয়ন ও ওরুকন রানী নাথ। আহত অন্যদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী একটি যাত্রীবাহী সিডিএম নামক লোকাল বাস বটতল এলাকায় আসলে একটি মোটরসাইকেলকে বাঁচতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ড্রাম ট্রাকের পেছনে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়।
বাসের বেঁচে যাওয়া যাত্রী মাসুদ। যিনি এই বাসের যাত্রী হয়ে ঢাকা থেকে উঠেছিলেন। তিনি বলেন, বেপরোয়া গতির বাসটি হঠাৎ এলোমেলোভাবে বাঁক দিতে থাকে। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাসটি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাককে সজোরে ধাক্কা দেয়। এরপরই বাসসহ আমরা খাদে পড়ে যাই। এ সময় ঘটনাস্থলে ৪ জন নিহত হয়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস ও কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত আহতদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত ডা. শারমিন জানান, অন্তত ২০ জন আহত রোগীকে এখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতদের অধিকাংশই মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত এবং অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশংকাজনক।
কুমিরা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ জাকির রব্বানী ৫ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এর মধ্যে চারজন ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। অন্যজনকে সীতাকুণ্ড মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। নিহতদের সকলেই পুরুষ।
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 

















