অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রবিবার সন্দ্বীপে মতবিনিময় সভা করেছেন। অনুষ্ঠানে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, “সন্দ্বীপ বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হওয়ায় দীর্ঘদিন প্রশাসনের নজরের বাইরে ছিল। এখন থেকে সবার নজর সন্দ্বীপের দিকে থাকবে।” তিনি আরও জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সরেজমিনে সন্দ্বীপ পরিদর্শন করেছেন।

উপদেষ্টা মাদক ও সন্ত্রাসের প্রসঙ্গেও সতর্ক করে বলেন, “সন্দ্বীপ মাদকের রুটে পরিণত হয়েছে। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূল করা সম্ভব নয়।”

তিনি আরও বলেন, “১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সন্দ্বীপ-চট্টগ্রাম নৌরুটে সীট্রাক চালু হবে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য দুই পাড়ে লো, মিড ও হাই তিনটি ঘাট প্রয়োজন।”

বিদ্যুৎ বিতরণ নিয়ে উপদেষ্টা জানান, “সন্দ্বীপে ৫ হাজার পুলের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ২০০ পুল এসেছে। দেড় হাজার পুলের জন্য টেন্ডার পাঠানো হয়েছে। নিয়ম মাফিক পুল বিতরণ করা হবে।”

সড়ক উন্নয়ন কাজ নিয়ে তিনি কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, “বিদ্যমান রাস্তা ভালো না হলে ভবিষ্যতে নতুন রাস্তার কাজের অনুমোদন দেওয়া হবে না।”

সীমানা বিরোধ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, “সন্দ্বীপ ও নোয়াখালীর সীমানা জটিলতা সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসন কাজ করছে। ন্যায্যতা অনুযায়ী সমাধান করা হবে।”

মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিন উল্লাহ নূরী, জেলা পুলিশ সুপার, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসিসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সন্দ্বীপের জনগণ উপদেষ্টার কাছে সীমানা জটিলতা, নদী ভাঙণ রোধ, নৌ যাতায়াত, অভ্যন্তরীন সড়ক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, বেড়িবাঁধ, আইন শৃঙ্খলা, কৃষিসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

এর আগে শনিবার উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আমীর মোহাম্মদ ফেরীঘাটের জেটি ও ব্রীজ নির্মাণ প্রকল্প, কালাপানিয়া-বাটাজোড়া-কাঠগড় সংযোগ সড়কের সম্ভাব্য স্থানসহ সন্দ্বীপের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন।