সন্দ্বীপে বিলে বিলে শীতকালীন শাকসবজির বাম্পার ফলন হয়েছে।আগাম কিছু সবজি এতদিন বাজারে চড়া দামে বিক্রি হলেও এখন দাম কমতে শুরু করেছে। ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে কিছু শীতকালীন সবজি নষ্ট হলেও কৃষক আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এবার ১০০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে।
স্থানীয় সবজি ছাড়াও শীতের শুরুতে সন্দ্বীপে খুচরা ও পাইকারি বাজারে শীতকালীন শাক-সবজিতে সয়লাভ হয়ে গেছে। স্থানীয় সবজি বাজারে আসায় দামও এখন ক্রেতার নাগালের মধ্যে চলে এসেছে। প্রতিকেজি ফুল কপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। বাঁধাকপি ৩০ টাকায়। টমেটো ও শীম ৬০ টাকায়। স্থানীয় কৃষখকদের অভিযোগ কৃষি উপকরণ এবং শ্রমমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশি দাম মনে হলেও এতেও কৃষকের পোষায় না।
উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুদ হোসেন জানিয়েছেন, এবার ১ হাজারের অধিক হেক্টর জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, বেগুন, নানা জাতের শাক, ধন্যা, বরবটি, লাউ, করলা, শীম, পটল, ঢেঁড়স, আলু, চিচিংগা, ঝিঙা ,ক্ষীরা, সরিষা, পেঁপে, গাজর লাগানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন স্হানীয় কৃষকদের কে পরামর্শ ও টেনিং এর মাধ্যমে চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে তাতে কৃষি তে বাম্পার ফলন ভালো হয়েছে।
বাউরিয়া ইউনিয়নের কৃষক বেচন বলেন কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধির কারণে এতদিন দাম কিছুটা চড়া হলেও এখন বাজারে স্থানীয় সবজি আসায় দাম কমে গেছে। এই দামে কৃষকের পোষায় না। এতদিন যে সবজি ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা সপ্তাহান্তে তা নেমে এসেছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। ক্রেতাদের মধ্যে এতদিন যে ক্ষোভ ছিল সেটা এখন বিক্রেতা ও কৃষকের মধ্যে দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন কৃষি অফিস থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা ফেলে নিজে যেমন লাভবান হবো তেমনি বাজারের চাহিদা ও পুরণ হবে।
সন্দ্বীপের ১৫ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় মগধরা কাছিয়াপাড়, বাউরিয়া, গাছুয়া, সন্তোষপুর, দীর্ঘাপাড়, উড়িরচরে বেশি সবজির আবাদ যোগ্য চাষ হয়েছে।