গত বৃহস্পতিবার ১ জুন সন্দ্বীপ উপজেলার হারামিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড কাছিয়াপাড় আল আমিন মাদ্রাসার সামনে বিকেল ৫ টায় মোটরসাইকেল ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তরিকুল ইসলাম তাসিব( ১৭) ট্রাকের সাথে তার মোটরসাইকেল দুমড়ে মুছড়ে যায়। সাথে সাথে তাকে সন্দ্বীপ স্বর্ণদ্বীপ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের পরামর্শে চট্টগ্রাম নগরীর পাচলাইশ থানাধীন পাকভিও হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। চার দিন পর তার জ্ঞান ফিরলে চিকিৎসকরা তার নতুন জীবনের আশা করছিল। অবশেষে ৮ জুন আটদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে গতকাল রাত ৩.৪৮ মিনিটে তাসিব না ফেরার দেশে চলে যায়।
তরিকুল ইসলাম তাসিব মুস্তাফিজুর রহমান ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের মানবিক বিভাগের মেধাবী ছাত্র ছিল। তার পিতার নাম আনোয়ার হোসেন লিটন মাতার নাম শাহেদা আকতার, উত্তর মগধরা ১ নং ওয়ার্ডের আলীম উদ্দিন হাজীর বাড়ী, তার পিতা দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিল, তিন ভাইয়ের মধ্যে তাসিব তৃতীয় ছিল। ছেলের এক্সিডেন্টের খবর পেয়ে তাসিবের পিতা পরদিন কুয়েত থেকে বাংলাদেশে চলে আসে। গতকাল বেলা ২ টায় চট্টগ্রাম থেকে তাসিবের লাশ যখন বাড়িতে আসে তখন সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া, তার মা বাবা ছিল নির্বাক। তাসিব ছিল ক্রিড়া প্রেমী ফুটবলার। সামাজিক সংগঠন ইউনাইটেড ইয়াং’সের সদস্য। তরুন তরিকুল ইসলামর তাসিবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন মগধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আনোয়ার হোসেন, সন্দ্বীপ আবহানী ক্রিড়া চক্রের সভাপতি সাহেদ সারোয়ার শামীম, ও বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সন্দ্বীপ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক ইলিয়াছ সুমন।